গণ-অভ্যুত্থানপরবর্তী নতুন বাংলাদেশের প্রথম ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে এক অনন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশে, প্রাণে প্রাণ মিলিয়ে। এবার ঈদের ছুটিও ছিল দীর্ঘ — টানা নয়দিন। বলা চলে, গত বৃহস্পতিবার থেকেই দেশের মানুষ ঈদের আমেজে ঢুকে পড়ে, অনেকে রাজধানী ছেড়ে ছুটে যায় নিজ জন্মভিটায়।
প্রতিবারই ঈদের ছুটিতে নাগরিকদের মনে একধরনের আতঙ্ক বিরাজ করে — চুরি, ছিনতাই, দাঙ্গা কিংবা ডাকাতির মতো ঘটনার আশঙ্কায়। কিন্তু এবারের ঈদ ছিল একদম ব্যতিক্রম। অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ছিল জনগণের জানমাল রক্ষা। ঢাকাসহ সারাদেশে গড়ে তোলা হয় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়।
তারই অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল থানার পুলিশ প্রশাসনও ছিল অত্যন্ত তৎপর। থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রফিকুল হাসানের নেতৃত্বে গোটা উপজেলায় ছিল কঠোর নজরদারি। ফলে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়েছে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে।
ছিনতাই, চুরি, দাঙ্গা বা ডাকাতির মতো অপরাধমূলক ঘটনা ছিল প্রায় শূন্যের কোঠায়। সরাইলবাসী শান্তিতে ঈদ উদযাপন করতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
ওসি রফিকুল হাসান জানান, “সরাইলবাসী যেন শান্তিতে ঈদ করতে পারেন — সেটিই ছিল আমাদের প্রধান লক্ষ্য। কোনো ধরনের আপত্তিকর ঘটনা ঘটেনি, এটাই আমাদের সার্থকতা।”
ঈদের দিন দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি আরও বলেন, “সবাই ছুটিতে থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কখনো ছুটিতে থাকে না। আমরা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই মাঠে ছিলাম।”
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এবারের ঈদে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৮০ শতাংশের বেশি পুলিশ সদস্যের ছুটি বাতিল করা হয়। সরাইল থানা পুলিশের একাধিক সদস্য জানান, ঈদের দিন দায়িত্ব পালনই ছিল তাদের সবচেয়ে বড় আনন্দ।
জনগণের প্রতি পুলিশ বাহিনীর এমন নিবেদিত দায়িত্বশীলতায় সরাইলে এবারের ঈদ সত্যিকার অর্থেই হয়ে উঠেছে — ‘স্বস্তির ঈদ’।
মন্তব্য করুন