মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং কমলগঞ্জ আওয়ামী তরুণ লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, তার ক্ষমতার দাপটে এলাকার সাধারণ মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারছেন না।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আব্দুল মতিন সম্প্রতি সরকারি খেলার মাঠ দখল করে সেখানে লেবু বাগান গড়ে তুলেছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে এই মাঠটি এলাকার শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার একমাত্র জায়গা ছিল। পরে এলাকাবাসী, শিক্ষার্থী ও যুবসমাজ মিলে মাঠটি দখলমুক্ত করে। কিন্তু এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে আব্দুল মতিন মাঠ উদ্ধারে জড়িতদের প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভুক্তভোগীরা জানান, মাঠ উদ্ধারের পর বেশ কয়েকজনের বাড়িতে গিয়ে হত্যার হুমকি দেন আব্দুল মতিন। এমনকি রাতের আঁধারে তিন থেকে চারজন নিরীহ মানুষকে আহত করার ঘটনাও ঘটে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে এফআইবিডিভি স্কুলের গাছ বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে। এ ছাড়া সরকারি আবাসন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ, নিরীহ মানুষদের হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া এবং সমাজের দুর্বল শ্রেণিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
এত অভিযোগের পরও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। তাদের অভিযোগ, প্রভাবশালী হওয়ায় আব্দুল মতিনের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে তিনি দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছেন।
অঞ্চলের সাধারণ মানুষ দ্রুত এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের কার্যকরী হস্তক্ষেপ চায়। তারা নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আব্দুল মতিনের সকল অনিয়ম ও অপরাধের বিচার দাবি করেছেন। পাশাপাশি স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
মন্তব্য করুন