চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ বলেছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ফুলকলি ফ্যাক্টরি বন্ধ করতে হবে। তিনি বলেন, ফুলকলি ফ্যাক্টরির দূষিত পানি খালে পড়ে পরিবেশ দূষণ ও এলাকার কৃষি জমির চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। ইউনিয়ন কৃষি স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ছাড়াও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার পথচারী প্রতিদিন দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। ফুলকলি কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য খালে পড়ে নানা রোগ ছড়াচ্ছে। তিনি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ফুলকলি ফ্যাক্টরি বন্ধ করার দাবি জানান। অন্যথায় এলাকাবাসী, কৃষক ও শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর স্বার্থে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি ৮ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সাড়ে ১১টার সময় ইউনিয়ন কৃষি স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকার উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে ফুলকলি ফ্যাক্টরির সামনে মহাসড়কে মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এসময় ইউনিয়ন কৃষি স্কুল সংলগ্ন ফুলকলি ফ্যাক্টরির সামনে মহাসড়ক ৩০ মিনিটের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। এতে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন কৃষি স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ ইসমাইল।
পটিয়া উপজেলা শ্রমিকদল নেতা জহির উদ্দিন মুহাম্মদ তসলিম ও নগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাইফুদ্দিন সাব্বিরের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জিল্লুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন পটিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কলিমুল্লাহ চৌধুরী, ধলঘাট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সোলায়মান বাদল, জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি শওকত আলী, স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য নুরুল আলম মামুন, জাহাঙ্গীর মেম্বার, নুরুল হক মেম্বার, আয়ুব, মুহাম্মদ রহিমুল্লাহ, খোকন শাহ, ফরিদ, জাহাঙ্গীর, আব্দুল গফুর, বদি, শুক্কুর, আনোয়ার হোসেন, ফাহিম, তানজিদ উদ্দিন, নুরুল আবছার, জিয়াউল হকসহ এলাকাবাসী, স্কুলের শিক্ষক ও হাজার হাজার শিক্ষার্থী মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।
মন্তব্য করুন