ঢাকা , সোমবার, ২০২৫ এপ্রিল ০৭, ২৪ চৈত্র ১৪৩১
#

দেশজুড়ে

ঝালকাঠিতে চাঁদাবাজির অভিযোগে শোকজ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক

হাসিবুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : রবিবার, ২০২৫ এপ্রিল ০৬, ০২:৪৮ অপরাহ্ন
#

ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসেন নিজাম মীরবহরের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও চাঁদা দাবির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছে জেলা বিএনপি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর কাঠালিয়া যুবদলের আমুয়া ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ অনেকেই একাধিক অভিযোগ পাঠান। এরই ধারাবাহিকতায় ৫ এপ্রিল জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নিজাম মীরবহরকে ৩ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নিজাম মীরবহর দলীয় দায়িত্বশীল পদে থেকে শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের আন্দোলনে দলের ত্যাগী নেতা সুমন খলিফা, যিনি নির্যাতিত এবং একাধিক গায়েবি মামলার আসামি—তাকে আওয়ামী ঘরানার দোষরদের সঙ্গে মামলায় আসামি করা হয়েছে। কারণ, সুমন খলিফার কাছে আপনি (নিজাম মীরবহর) পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং না পেয়ে তাকে মামলায় জড়ান।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আপনি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে মাঠে কাজ করার নির্দেশনা দেন নেতাকর্মীদের। একটি অডিও ক্লিপে আপনাকে ওই প্রার্থীকে ভোট দিতে বলতে শোনা গেছে এবং নিজেও তার পক্ষে কাজ করেছেন বলে জানা যায়।

এছাড়া, সুমন খলিফার কাছে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে এবং তিনি ভবিষ্যতে আমুয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এমন ঘোষণার পর আপনি তাকে স্বৈরাচারবিরোধী মামলায় আসামি করিয়েছেন। উদ্দেশ্য ছিল তাকে আওয়ামী ঘরনার ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা। পাশাপাশি আপনার বিষয়ে পত্রিকা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদে দলীয় ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে। তাই কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানাতে আপনাকে তিন দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে নিজাম মীরবহর বলেন, “আমাদের কাঠালিয়া উপজেলা বিএনপির অফিস যারা শাহজাহান ওমরের নির্দেশে ভাঙচুর করেছে, মামলায় তাদেরকেই আসামি করা হয়েছে। সুমন খলিফা তাদের অন্যতম। তাই ঐ মামলায় শাহজাহান ওমরও আসামি। বিগত স্বৈরাচার সরকারের সঙ্গে আতাত করে কোটি কোটি টাকার কাজ করেছে সুমন, যেগুলো এখনো চলমান। এছাড়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শাহাদাৎ সাহেবকে কেন্দ্রীয় কমিটি আমার বিষয়ে কোনো তদন্ত বা ব্যবস্থা নিতে বলেনি। সদস্য সচিবের উচিত ছিল এখানে এসে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত করা।”

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video