আন্তজেলা ভূমি জাল দলিল সৃষ্টিকারীর প্রধান হোতা সিন্ডিকেট দলের প্রধান চট্টগ্রাম ডিসি অফিসের বড় অফিসার আহাদ হোসেন। দক্ষিণ ঘাটছেক মৃত আক্তার হোসেনের পুত্র বলে জানায়। তিনি চট্টগ্রাম ডিসি অফিসের অর্থাৎ ডিসির প্রেসকার আহাদ হোসেন নামে পরিচয় দানকারী, খাস জমি বন্দোবস্তি ও জাল কবলা সৃষ্টিকারী আহাদে আস্ফালনে সাধারণ জনগণের বিশ্বাস অর্জন করেন। সহজ সরল মানুষকে ঠকিয়ে, কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন গত ১৭ বছরে। যে কারণে বিগত ২৩ মাস জেল বাস করেছেন তিনি। সম্প্রতি জামিনে এসে পুনঃরায় পুরাতন পেশা শুরু করেছেন। সাধারণ জনগণকে অর্থাৎ সহজ সরল মানুষদের আশ্বাস দেন, "আপনাদের কোন চিন্তার দরকার নাই, প্রয়োজনে সব জামেলা আমি নিব। সব কাগজ আমি ঠিকমত করে দেব। কাগজপত্র কদিনের মধ্যে আপনারা পেয়ে যাবেন। প্রথম কিস্তির টাকা দেন, তারপর দলিল বুঝিয়ে দিলে বাকি টাকা দেবেন এবং ১৫ দিনের মধ্যে কাগজপত্র পেয়ে যাবেন, তাতে কোন চিন্তা করতে হবেনা।"
জালিয়াতি সিন্ডিকেট চক্রের প্রধান এই হোতা আহাদ হোসেনের সাথে ভূমি জালিয়াতির চক্রের আরো আছেন ১০/১২ জন। তার সাথে যৌথভাবে আছেন তার নিজ মা, জেলকাটা মামলার আসামী, এক বছর সাজা ভোগকরা বর্তমানে জামিনে থাকা।
এই আহাদ হোসেন স্বপরিবারে মদুনা ঘাটে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকাকালে আবদুল মজিদ চেয়ারম্যান বিচার করেন এবং বিচারে তিন লক্ষ টাকার ভুয়া চেক দেন মামলার বাদী হোসনে আরাকে। যার মামলা নং ৬৭/২০১৮ জি আর (জাল দলিল) এক কোটি টাকা।
উক্ত মামলায় রায় ডিগ্রিতে- কোর্ট জরিমানা করে ৪৭ লাখ টাকা, কিন্তু সেই রায়ের পর আদালতে তিন লক্ষ টাকা (১ম কিস্তির) প্রথম চেক প্রদান করেন এবং সেই চেকটি ভূয়া প্রমাণিত হয় ব্যাংকে।
ভূয়া চেকের জন্য জরিমানা সহ চেক জালিয়াতির মামলা হয় এবং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অর্থঋণ আদালতে মামলা করেন। এবং প্রদত্ত চেকের বিপরীতে পরিশোধের জন্য শেষ সুযোগ দিয়ে পুনরায় সময় দেন। আর সেই সময়, অর্থাৎ আগামী ৯ এপ্রিল ২০২৫ বুধবার, রায় ডিগ্রির জন্য দিন নির্ধারণ করে আদালত।
অপর মামলানং- ২৯০৪ এস, টি ২০১৮ ইং, মামলায় এক কোটি ৮০ হাজার টাকার চুপ্তি মতে অর্থঋণ আদালত সহ জাল দলিল সৃজন করে টি কে পাহাড়ের ১১.৭৬ একর সম্পদ ভূয়া দলিলের মাধ্যমে হোসনে আরা বেগমকে পাইয়ে দিতে ১ কোটি ৮০ হাজার টাকার চুক্তিপত্র করে। জরিমানা সহ চেক জালিয়াতি এই সিন্ডিকেট দলের সাথে আছে মোট ১২-১৫ জন ভূমি দস্যু দালাল দলের সদস্য রয়েছে বলে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন