ঢাকা , মঙ্গলবার, ২০২৫ এপ্রিল ০৮, ২৫ চৈত্র ১৪৩১
#

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কর্মস্থলমুখী মানুষ পড়েছে চরম ভোগান্তিতে

মোঃ দিদার হোসাইন, বাঁশখালী প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম।
প্রকাশিত : রবিবার, ২০২৫ এপ্রিল ০৬, ০৩:৫৩ অপরাহ্ন
#

ঈদের ৫ম দিনেও ঈদের আমেজে বাঁশখালীর প্রধান সড়কে চলছে ভাড়া নৈরাজ্য। ছুটি শেষে বাড়ি থেকে কর্মস্থলমুখী মানুষ চট্টগ্রামের আনোয়ারা–বাঁশখালী–পেকুয়া সংযোগ পিএবি সড়কে যাত্রাভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রবিবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার প্রেম বাজার, নাপোড়া বাজার, চাম্বল বাজার, উপজেলা সদর, পৌরসভার মিয়ার বাজার, গুনাগরীসহ প্রধান সড়কের অন্তত ছয়টি স্পটে চালকরা অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করায় যাত্রীদের চরম ভোগান্তির দৃশ্য দেখা গেছে। এইসব ব্যস্ততম পয়েন্টগুলোর বর্তমান চিত্র দেখলেই মনে হয় যাত্রী ভোগান্তির একেকটি দৃশ্যপট।

ঈদের ছুটি শেষে বাড়ি থেকে শহরমুখী যাত্রী মো. ইউনুস, গার্মেন্টস শ্রমিক মুরাদ, জিসান, শহিদুল মোস্তফা, নাছির, সেলি আক্তার, জেসমিন, আকলিমা আক্তারসহ শতাধিক মানুষ অভিযোগ করে বলেন, ঈদের ছুটিতে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার সময় গাড়িচালকরা এমনিতেই স্বাভাবিকের তুলনায় তিনগুণ ভাড়া আদায় করেছে। ছুটি শেষে ঈদের ৫ম দিনেও গাড়িচালকরা যাত্রীদের জিম্মি করে আরও বেশি ভাড়া নিচ্ছে।

স্বাভাবিকভাবে প্রেম বাজার থেকে মইজ্জারটেক হয়ে নতুন ব্রিজ পর্যন্ত সিএনজি ভাড়া জনপ্রতি ১২০ টাকা হলেও এখন নেওয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা, নাপোড়া থেকে ১১০ টাকার পরিবর্তে ৩৫০ টাকা, চাম্বল বাজার থেকে ১০০ টাকার পরিবর্তে ৩০০ টাকা, উপজেলা সদর থেকে ৮০ টাকার পরিবর্তে ৩০০ টাকা, মিয়ার বাজার থেকে ৩০০ টাকা, গুনাগরী চৌমুহনী থেকে ৬০ টাকার পরিবর্তে ২৫০ টাকা আদায় করছে সিএনজি চালকরা।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা যায়, বাঁশখালীর সিএনজি স্টেশনগুলোতে চালকরা যাত্রীদের জিম্মি করে স্বাভাবিকের চেয়ে তিনগুণের অধিক ভাড়া দাবি করছেন। এসময় ভিডিও ধারণ করতে চাইলে কয়েকজন চালক দৈনিক সংগ্রাম পত্রিকার প্রতিবেদককে বাধা দেন।

অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কথা স্বীকার করে কয়েকজন চালক বলেন, “বদ্দা, আপনারা সাংবাদিক মানুষ, আপনাদের কাছ থেকে ভাড়া বেশি নেব না। ঈদ উপলক্ষে কিছুটা বেশি নিচ্ছি। যানজটে সময় বেশি লাগে, শহর থেকে ফেরার পথে যাত্রী মেলে না, খালি গাড়ি ফেরাতে হয়—তাই বাড়তি ভাড়া নিতে হচ্ছে।”

চালকদের নৈরাজ্য থেকে বাঁচতে অনেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাসের ছাদে উঠে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে শহরে রওনা হচ্ছেন। যাত্রী ভোগান্তি কমাতে সরকার ও প্রশাসন ঈদের আগেই সক্রিয় থাকলেও আনোয়ারা–বাঁশখালী–পেকুয়া সড়কে ভাড়া নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদুল আলম জানান, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি জানার পর তিনি নিজেই গুনাগরী স্টেশনে গিয়ে সিএনজির ভাড়া নির্ধারণ করে দেন এবং যাত্রীদের সুবিধার্থে লোকাল ভাড়ায় ছয়টি বাস ছাড়ার ব্যবস্থা করেন।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video