ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি নৃশংস গণহত্যা ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে ঝালকাঠি জেলাজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিশ্বব্যাপী মজলুম গাজাবাসীদের ডাকা হরতালের সমর্থনে দিনব্যাপী জেলার সদর, নলছিটি, রাজাপুর ও কাঠালিয়া উপজেলায় বিভিন্ন ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। ঝালকাঠির সদরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে জনতা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে ফায়ার সার্ভিস মোড়ে জড়ো হন সাধারণ মানুষ। এ সময় সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জরুরি সেবা ছাড়া সবধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট বন্ধ ছিল। কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ইব্রাহিম আল হাদী বলেন, “গাজাবাসীর ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি আহ্বান করা হয়েছে। বিপুল সংখ্যক লোকজন স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।”
অন্যদিকে নলছিটিতে সকাল ১১টায় বাসস্ট্যান্ড থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নলছিটি উপজেলা শাখা ও বিকেলে মার্চেন্টস স্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে হেফাজতে ইসলামের ব্যানারে দুটি পৃথক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল দুটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৃথক পৃথক স্থানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
রাজাপুরে সোমবার বেলা ১১টায় শহীদ মিনার চত্বরে রাজাপুর কামিল মাদরাসার ব্যানারে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেছেন মাদরাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। বিকেল ৫টায় রাজাপুর মডেল মসজিদ সংলগ্ন এলাকা থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজাপুর উপজেলা শাখা এবং বাইপাস সংলগ্ন এলাকা থেকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ব্যানারে দুটি পৃথক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল দুটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়। একই সময় রাজাপুর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে আরেকটি বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে কাঠালিয়া বাসস্ট্যান্ডে সকাল ১০টায় সর্বস্তরের জনগণের এবং বিকেল ৫টায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কাঠালিয়া উপজেলা শাখার ব্যানারে দুটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল দুটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৃথক পৃথক স্থানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “অবিলম্বে ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।” একইসাথে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়ানোর আহ্বান জানান তারা। বক্তারা আরও বলেন, “গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কর্তৃক নারী, শিশু, স্কুল, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে জঘন্য ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। এই বর্বরোচিত হামলা সারা বিশ্বের শান্তিকামী সাধারণ মানুষকে ব্যথিত করছে এবং এটি মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্যতম অপরাধ। আমরা এই প্রতিবাদী বিক্ষোভ থেকে বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ ও অবিলম্বে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।”
মন্তব্য করুন