ঢাকা , শনিবার, ২০২৪ নভেম্বর ২৩, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
#

দেশজুড়ে

উচ্চ আদালতের নিষেজ্ঞা অমান্য করার অভিযোগ

রাউজানে চার ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর

রাউজান ( চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২০২৪ নভেম্বর ১৪, ০১:৩৪ অপরাহ্ন
#


চট্টগ্রামের রাউজানে আদালতের নিষেজ্ঞা অমান্য করে চারটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। একই সাথে একটি ইটভাটাকে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মেলুয়া এলাকায়। এই অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তার।
এসময় সেনাবাহিনী, র‌্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের সহযোগিতায় মেসার্স এম আর চৌধুরী ব্রীকস-১, ডি.এন.সি, এম আর চৌধুরী ব্রীকস -২ ও মেসার্স বেঙ্গল ব্রিকস কোম্পানী-২ নামের চারটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। জে.বি.আই নামে একটি ইটভাটাকে তিন লাখ টাকা জরিমান প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
মেলুয়া এলাকার এম আর চৌধুরী ব্রীকস-১ ও জঙ্গল রাউজান এলাকার এম আর চৌধুরী ব্রীকস-২ মালিক এস এম শহিদুল্লাহ রনি অভিযোগ করেন, আমি উচ্চ আদালত থেকে ইটভাটা পরিচালনার জন্য ছয় মাসের অনুমতি পেয়েছি। নিষেজ্ঞা থাকা সত্বেও পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তার অভিযান পরিচালনা করেন আমার দুইটি ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এটা আদালত অবমাননার করা হয়েছে। এ ব্যাপরে আমি মামলা করার সিন্ধান্ত নিয়েছি।
মেসার্স বেঙ্গল ব্রিকস কোম্পানী-২ এর মালিক সৈয়দ হোসেন কোম্পানী বলেন , আমি উচ্চ আদালত থেকে ইটভাটা পরিচালনার জন্য ছয় মাসের অনুমতি পেয়েছি। নিষেজ্ঞা থাকা সত্বেও পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করেন আমার ইটভাটা গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
আদালতের রিট পিটিশন নং-১৫৮৯২/২০২৩ সূত্রে জানা যায়, ১৩ নভেম্বার হতে আগামী ছয় মাসেরর জন্য নিষেজ্ঞা দেন ফাতেমা নাজিব ও সিকদার মাহামুদুর রাজি আদালত।
 ইটভাটার মালিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, কেউ কেউ ব্যাংক ঋন নিয়ে ইটভাটায় বিনিয়োগ করেছে। প্রতি ইটভাটায় দেড়'শ থেকে দুই শতাধিক দিন মজুর কাজ করে। এই অভিযানের ফলে তাদের পেটে লাথি মারা হয়েছে।ভাটা মালিকদের দাবি অভিযানে তাদের প্রায় চার কোটি টাকার মত লোকসান হয়েছে।চট্টগ্রাম জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন বলেন,  ইটভাটার চিমনী ১২০ ফুট উচ্চতা, রাবার বাগান ঘেঁসে ইটভাটা স্থাপন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় চারটি অবৈধ ইটভাটা  সর্ম্পূণ ভাবে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জে.বি.এল নামের ইটভাটার মালিক মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে পাহাড় কাটার অভিযোগে তিন লাখ টাকা অর্থনদণ্ড দেওয়া হয়। ভাটার মালিকদের বিরুদ্ধে পাহাড় ও আবাদি জমির মাটি ব্যবহার ও জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানোর অভিযোগও রয়েছে। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকা দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তার বলেন,অভিযান পরিচালনা করে চারটি ভাটা ভেঙে দিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়াসহ একটি ভাটাকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরিবেশে অধিদপ্তরের এমন অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video