ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার কুলকাঠি গ্রামের ৭০ বছরের বৃদ্ধ কাওসার হোসেন ওরফে মিন্টু মৃধার বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর নলছিটি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছিলেন একই উপজেলার মো. জাকির হোসেনের মেয়ে এবং মো. মামুন হাওলাদার (সি.এন.এন মামুন) এর স্ত্রী।
এজাহারে বাদী লিখেছিলেন, “আমার স্বামী মামুনের সাথে দাম্পত্য কলহের সমস্যা সমাধান এবং একটি কাজের আশায় বেশ কয়েকবার মিন্টু মৃধার কাছে যাই। এ থেকেই তার সাথে আমার সু-সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২০২২ সালের ২১ নভেম্বর সকালে আমার ঘরে প্রবেশ করে আমাকে ধর্ষণ করেন।”
এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি কাওসার হোসেন ওরফে মিন্টু মৃধাকে বেশ কিছুদিন কারাগারে থাকতে হয়। এক পর্যায়ে উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে মুক্ত হন বৃদ্ধ মিন্টু মৃধা।
মামলায় বর্ণিত ধর্ষণের ঘটনার সময় মিন্টু মৃধা ঝালকাঠি আদালতে ও বিভিন্ন অফিসে ব্যক্তিগত কাজে ছিলেন, যা বিভিন্ন দপ্তরের সিসি ক্যামেরা ফুটেজে প্রমাণিত হয়। এছাড়া ডিএনএ পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
দুই বছরের অধিক সময় পুলিশি তদন্ত শেষে মামলার এজাহারে বর্ণিত ঘটনা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় নলছিটি থানা থেকে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আমিনুল।
বুধবার ৯ এপ্রিল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের নোটিশে ঝালকাঠি আদালতে হাজির হলে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অপরাধে মামলার বাদী সুমাইয়া আক্তার রিমিকে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক।
নলছিটি এলাকার একজন গণমাধ্যমকর্মী তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, “কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বাচ্চুর অন্যায়-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মিন্টু মৃধা প্রতিবাদ করায় তাকে শায়েস্তা করতে রিমিকে দিয়ে মিথ্যা মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। এ ঘটনা সাজাতে রিমিকে ৫ লাখ টাকাও দিয়েছিলেন সাবেক এই চেয়ারম্যান।”
মন্তব্য করুন