প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) আয়নাঘর পরিদর্শন করেন। তিনি দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম কর্মী ও ভুক্তভোগীদের নিয়ে এই পরিদর্শন করেন। এর আগে, ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, প্রধান উপদেষ্টা আয়নাঘর পরিদর্শন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনকালে ২০০৯ থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬০৫ জনকে গোপনে বন্দি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। আরও একটি তথ্যে জানা যায়, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে ৩৪৪ জন গুমের শিকার হন, তাদের মধ্যে ৪০ জন মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় এবং ৬৬ জন সরকারি হেফাজতে গ্রেফতার অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিলেন।
গুম হয়ে ফিরে আসা অনেকেই গুমের বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি, এবং ধারণা করা হয় যে, তাদের গুম করা হয়েছিল আয়নাঘরে। গুম হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে অধ্যাপক মোবাশার হাসান, সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ কুমার রায়, মাইকেল চাকমা এবং মীর আহমদ বিন কাসেমসহ বেশ কয়েকজনের নাম রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বলা হচ্ছে, রাষ্ট্রীয় বাহিনী নানা শ্রেণীর মানুষকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিশেষ স্থানে রাখা হতো, যার মধ্যে অন্যতম ছিল আয়নাঘর। সুইডেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম নেত্র নিউজে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে এই স্থান ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিতি পায়। অনেক গুম হওয়া ব্যক্তি শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর এই আয়নাঘর থেকে ফিরে আসেন এবং তাদের বয়ানে উঠে আসে আয়নাঘরের ভয়াবহতা।
মন্তব্য করুন