চট্টগ্রামের রাউজান চিকদাইর সার্বজনীন দুর্গা মন্দির প্রাঙ্গণে ঐতিহ্যবাহী উত্তরায়ণ মহোৎসবের ৫০ বছর পূর্তি তথা সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠান গত ১২ জানুয়ারি রবিবার সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হয়। ১২ থেকে ১৫ চারদিনব্যাপী মহামাঙ্গলিক আয়োজনের মধ্যে রয়েছে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, সঙ্গীতানুষ্ঠান, সংবর্ধনা, স্মৃতিচারণ, ধর্মসভা, পুরস্কার বিতরণ, ধর্মীয় নাটক, বিশ্বশান্তি গীতা যজ্ঞ, ভোগরাগ, অন্নপ্রসাদ আস্বাদন, শুভ অধিবাস ও অষ্টপ্রহরব্যাপী ভুবন মঙ্গল মহানামযজ্ঞ ও শান্তিবাণীপাঠ। ১২ জানুয়ারি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি চিকদাই সার্বজনীন দুর্গাবাড়ি প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ প্রদক্ষিণ করে পুনরায় উৎসব প্রাঙ্গণে এসে সমাপ্ত হয়। স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বোলনের মাধ্যমে ধর্মসভা, সংবর্ধনা, স্মৃতিচারণ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন শ্রীমৎ স্বামী পূর্ণব্রতানন্দ মহারাজ ও ধর্মীয় আলোচক শ্রীমৎ স্বামী পুলকানন্দ মহারাজ। ৫০তম উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্রী রতন করের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রী রণজিৎ বিশ্বাস, আশুতোষ দে, রাউজান ঐক্যবদ্ধ সনাতনী সমাজের প্রধান সমন্বয়ক ও সমাজ সংগঠক সঙ্গীত শিক্ষক সুমন দাশগুপ্ত, নিখিল বিশ্বাস সরকার, বিপ্লব দাশ, বিপ্লব মল্লিক, আরো অনেকে। ধর্মসভা ও পুরস্কার বিতরণ শেষে সাবেক সভাপতি ইউ পি সদস্য শ্রী দুলাল কান্তি দে'র পরিচালনায় পরিবেশিত হয় ''সাধক রামপ্রসাদ" শীর্ষক অধ্যাত্মভাব সমৃদ্ধ ধর্মীয় নাটক। রাতে ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে সকলকে আনন্দ দেন সংগীতশিল্পী বৃষ্টি দে। এছাড়াও আজ ১৩ জানুয়ারি বিশ্বশান্তি কামনায় গীতাযজ্ঞ ও আগামীকাল ১৪ জানুয়ারি মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হবে এবং ১৫ জানুয়ারি ব্রহ্মমুহুর্তে মহানামযজ্ঞের পূর্ণাহুতির মধ্য দিয়ে শেষ হবে তিন দিনের এই মহামাঙ্গলিক আয়োজন। উক্ত মহতী ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দূর দূরান্ত থেকে আগত হাজার পূর্ণতা ভক্ত বৃন্দ নর নারী সমবেত হয়।
মন্তব্য করুন