চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানাধীন ১৩নং পাহাড়তলী এলাকার ওয়ার্লেস ৪নং লাইনের শেষ মাথায় তালতলা কলোনীতে যুবদল নেতা মোঃ হেলাল হোসেনের অনুসারী এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিল হোসেন বগার অনুসারীদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টা থেকে ভোর পর্যন্ত থেমে থেমে এ সংঘর্ষ চলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বিরোধ চলছিল। এর জের ধরেই রাতে প্রথমে বাগ্বিতণ্ডা এবং পরে তা রূপ নেয় সংঘর্ষে। সংঘর্ষ চলাকালে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় হেলাল গ্রুপের দুই সদস্য শাকিল ও রাজু আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। পরে পাল্টা হামলায় বগা গ্রুপের সদস্যরা হেলাল গ্রুপের সক্রিয় সদস্য ও সাবেক ছাত্র নেতা জামিলের বাড়িতে ভাঙচুর চালায় এবং তাকেও মারধর করে গুরুতর আহত করে।
এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যুবদল নেতা হেলাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আধিপত্য বিস্তার করতে বগার অনুসারীরা অতর্কিতভাবে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের নেতাকর্মীদের আহত করার পাশাপাশি তাদের বাড়িঘরও পুড়িয়ে দেয়। ৫ ই আগস্টের পর বগার বিরুদ্ধে এমন অসংখ্য অভিযোগ এসেছে। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকার মানুষ।
সংঘর্ষের সময় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন সংঘর্ষকারীরা একটি সিএনজি অটোরিকশা এবং নির্মাণকাজে ব্যবহৃত একটি স্কেবেটর (ভেকু মেশিন) আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
তবে অভিযোগের সত্যতা জানতে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিল হোসেন বগার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমি কোনভাবেই এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত নই। মিথ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। হেলাল গ্রুপ নিজেরা মারামারি করে আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে।
সারারাত ধরে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলতে থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে রাত কাটান। ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ মোতায়েন করা হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরে সেনাবাহিনীও টহলে নামে।
তবে ঘটনার বিস্তারিত জানতে খুলশী থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মন্তব্য করুন