চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে পর্যটকরা বিমুখ। বন বিভাগ এই পার্কটিকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে ১৭ বছর পর দীর্ঘমেয়াদী আকর্ষণীয় প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইকোপার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেন এবং জীব সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রধান মুহাম্মদ হোসাইন।
২৮/১২/২৪ তারিখ শনিবার দুপুর ২টায় সীতাকুণ্ড ইকোপার্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি জানান, দেশে বেসরকারিভাবে পর্যটকদের জন্য অনেক অত্যাধুনিক পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। ফলে সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। এটি এশিয়ার বৃহত্তম পার্ক হলেও বিভিন্ন সমস্যার কারণে এটি পর্যটকদের আকর্ষণ হারাচ্ছে।
সমস্যাগুলোর সমাধান জরুরি। গন্যমান্য ব্যক্তিদের মতামতের ভিত্তিতে পার্কের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে পার্কে নিজস্ব গাড়ির পার্কিং ব্যবস্থা, গেইট থেকে ছাদ খোলা গাড়ির সুবিধা, পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যবস্থা, শিশুদের জন্য আকর্ষণীয় নানান প্রজাতির জীবজন্তুর প্রতিকৃতি এবং জীবজন্তু উন্মুক্তকরণ, ক্যাপসুল লিফট, পাহাড় বাঁধ নির্মাণ করে লেক তৈরি এবং স্পিডবোট সুবিধা, ৩ একর ভূমি অধিগ্রহণ, পলিথিন ও প্লাস্টিক মুক্ত পার্ক বাস্তবায়ন, নিরাপত্তা জোরদার করে হয়রানি ও ইভটিজিং মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা।
ইকোপার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেন উন্নয়নে প্রয়োজনীয় ৪৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এ বিষয়ে কাজ করবে বাংলাদেশের ৫ বোটানিক্যাল গার্ডেন উন্নয়ন প্রকল্প।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা প্রকৌশলী মো. আলমগীর বাদশা, ইকিউএমএস-এর কনসালটেন্ট এস. এম. তানভির, বোটানিক্যাল গার্ডেন উন্নয়ন বাস্তবায়নে অরণ্য ফাউন্ডেশনের টিম লিডার অতীশ রঞ্জন পাল, সীতাকুণ্ড ইকোপার্ক ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের রেঞ্জ কর্মকর্তা মাসুম ও মোহাম্মদ আলাউদ্দীন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক শহিদুল্লাহ, সীতাকুণ্ড স্রাইন কমিটির কর্মকর্তা তুষার চক্রবর্তী ও প্রদীপ রঞ্জন দত্ত, ইকিউএমএস-এর কনসালটেন্ট ইলিয়াস মজুমদার, ইকোপার্ক জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা আনোয়ার হোসাইন ও মাওলানা নূর উদ্দীন, সালেক মুর্শেদ, ইজারাদার মো. নাছির সওদাগর এবং পার্কে কর্মরত বন কর্মীবৃন্দ।
অরণ্য ফাউন্ডেশনের প্রবীণ বন কর্মকর্তারা গন্যমান্য ব্যক্তিদের মতামতের ভিত্তিতে প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়নে কাজ করবেন।
মন্তব্য করুন