বাংলাদেশ সরকার আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে আইন ও নীতিমালা মেনে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে নীতিমালায় সুযোগ না থাকায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যে ইন্টারনেট ট্রানজিট সুবিধা প্রদান করার প্রস্তাব নাকচ করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
দেশের দুটি ইন্টারন্যাশনাল টেলিস্ট্রেরিয়াল ক্যাবল (আইটিসি) কোম্পানি সামিট কমিউনিকেশনস ও ফাইবার এট হোম ভারতের ভারতী এয়ারটেলের সঙ্গে মিলে এই উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু বিটিআরসি জানায়, নীতিমালায় ট্রানজিট সুবিধা দেয়ার বিধান না থাকায় প্রস্তাবটি অনুমোদন করা হয়নি।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বলেন, "আমাদের নীতিমালা অনুযায়ী, বাইরের ডেটা দেশে ল্যান্ড করা এবং তা রিসেল করার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু ট্রানজিট দেয়ার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত নেই।"
এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট খাত। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রানজিট সুবিধা দিলে আঞ্চলিক হাব হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান দুর্বল হতো। এদিকে, স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সুরক্ষার বিষয়টিও অগ্রাধিকার পেয়েছে।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক জানান, "গুগল-ফেসবুক কলকাতায় হাব করেছে। তারা যদি আমাদের কাছ থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানি করে, তাহলে পারস্পরিক সুবিধা নিশ্চিত হবে। তবে আমি ট্রানজিটের পক্ষে নই। কারণ, তারাও আমাদের ট্রানজিট দিচ্ছে না।"
বিটিআরসি জানায়, ট্রানজিট সুবিধা দিলে নির্দিষ্ট কিছু কোম্পানি সুবিধা পেত, যা সুস্থ প্রতিযোগিতার জন্য সহায়ক নয়। নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত না থাকলে ভবিষ্যতেও প্রস্তাব বিবেচনার সুযোগ নেই।
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, এ সিদ্ধান্তের ফলে গুগল ও মেটার মতো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে এজড পপ ও ডেটা সেন্টার স্থাপনে আগ্রহী হবে। এটি দেশের প্রযুক্তি খাতের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
মন্তব্য করুন