তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক শিক্ষা ও বাণিজ্য উপদেষ্টা, ব্র্যাক চেয়ারম্যান, অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, “আমি ফিট, দেশ ফিট’’ এই স্লোগানকে সামনে নিয়ে ১০ কিলোমিটার ম্যারাথন দৌড়ে অংশ নেন চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, ঢাকা, রংপুর, কুষ্টিয়া, বান্দরবান, কক্সবাজারসহ ১৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী ৩০০ নারী পুরুষ। এই ম্যারাথন আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো স্থানীয় জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিক ও মানবিক কাজে তরুণদের সম্পৃক্ত করে একটি সুস্থ সমাজ গঠনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। আমরা আজকে দৌড়ালাম ১০ কিলোমিটার, কিন্তু কালকে আবার চলে গেলাম ঘুমাতে, তাহলে হবে না। প্রত্যেকদিন কমপক্ষে ১ কিলোমিটার অথবা আধা কিলোমিটার দৌড়াতে হবে, না হয় কিছুদুর হাঁটলেও শারীরিক সক্ষমতা কিছুটা বজায় থাকবে। যুবকদের উন্নয়ন কাজে জড়িত করে স্বাস্থ্য সচেতন হিসেবে গড়ে তুলতে এই ধরনের আয়োজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষের সাথে নারীরা সমান তালে অংশগ্রহণ করায় তিনি ধন্যবাদ জানান। গতকাল শুক্রবার সকালে চন্দনাইশ স্বপ্নবিলাস বিদ্যানিকেতনের আয়োজনে প্রথমবারের মতো শীতকালীন ম্যারাথন দৌড়ে প্রথম ১০ জনকে পুরষ্কৃত করা হয়। পুরস্কার বিতরণী সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বপ্নবিলাস বিদ্যানিকেতনের উদ্যোক্তা মোহাম্মদ সাইফুদ্দীনের সভাপতিত্বে ও আনিসুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সিইও মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্যাপ্টেন আতিকুল্লাহ খাঁন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, আমেরিকা প্রবাসী প্রকৌশলী নাসিমুল গনি, বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডা. একেএম আরিফ উদ্দীন আহমদ, চন্দনাইশ সমিতি-চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, চন্দনাইশ প্রেসক্লাবের সভাপতি এড. মো. দেলোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ এরশাদ, সজিব ভূইয়া প্রমুখ। দৌড়ে ড. হোসেন জিল্লুর রহমান স্ব-স্ত্রীক, চট্টগ্রামের ৭৯ বছরের সামসুদ্দীন, আমেরিকা থেকে আসা ৭৩ বছরের প্রকৌশলী নাসিমুল গনি সহ অনেক বয়বৃদ্ধ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। নারাইলের উজ্জ্বল ছেলেদের মধ্যে প্রথম, মাইচিং মার্মা মেয়েদের প্রথম স্থান অধিকার করে। ৭ জন পুরুষ ও ৩ জন নারীকে পুরষ্কৃত করা হয়।
মন্তব্য করুন