স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকলেও অনলাইনে ক্লাস এবং অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষাকার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামণ্ত্রী। তিনি একই সঙ্গে বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষকদের নিয়মিত প্রতিষ্ঠানে আসতে হবে।
দীর্ঘ ১৭ মাস পর ২০২১ এর ১৭ সেপ্টেম্বর খোলে স্কুল-কলেজ। শিক্ষার ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই করোনার কারণে আবারো এল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় শিক্ষা অধিদপ্তর। বাধ্য হয়েই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, এই সময়ে শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচি চলবে। যেসব প্রতিষ্ঠানের সামর্থ্য আছে তারা অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখবে। সেই সঙ্গে স্কুল-কলেজের দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে। অর্থাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যালয় খোলা থাকবে টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার জন্য।
শিক্ষামন্ত্রী আরো জানান, শিক্ষার্থীদের সমাবেশ এড়ানোর জন্য কোচিং সেন্টারগুলো ও এ সময়ে বন্ধ রাখা হবে।
এদিকে অভিভাবকেরা বলেছেন, আগের মতো দীর্ঘ সময় যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা না হয়।এতে পড়াশুনার অনেক ক্ষতি হয় বলে বক্তব্য তাদের।
গবেষকেরা বলছেন, করোনার দিকটিও যেমন বিবেচনা করতে হবে তেমনিভাবে শিক্ষার ক্ষতির দিকেও নজর দিতে হবে। প্রয়োজনে সামনে যে এলাকায় করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকবে সেখানে স্কুল খোলার পরামর্শ তাদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক নাজমুল আহসান বলেছেন, গুরুত্ব বুঝে নির্দিষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে বলা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে একটি শাখার শিক্ষার্থীদের কয়েকটি ভাগে ভাগ করে আলাদা দিনে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল কর্তৃপক্ষকে ক্লাস নেয়ার পরামর্শ তাঁর।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রণালয় বলছে, দেশে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই আবার স্কুল খোলা হবে।
মন্তব্য করুন