পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রথাগত আইনের প্রচলিত নারী হেডম্যান কার্বারি নেটওয়ার্ক সংগঠনের উদ্যোগে খাগড়াছড়ি সদর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হলো পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী হেডম্যান কার্বারি নেটওয়ার্ক সম্মেলন-২০২৫।
সকালে খাগড়াছড়ি সদর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে নারী হেডম্যান কার্বারি নেটওয়ার্ক (সিএইচটি) সদস্য ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হেডম্যান জয়া ত্রিপুরার সভাপতিত্বে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিরুনা ত্রিপুরা। প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, কার্বারি হেডম্যানরা এই পাহাড়ের প্রাণ। তারা প্রান্তিক পর্যায়ে বিভিন্ন গ্রামে বসবাস করার কারণে গ্রামের বিচার-আচার ও সামাজিক সমস্যাগুলো কৌশলে সমাধানের চেষ্টা করেন। গ্রামের সহজ-সরল, অসহায় মানুষগুলোর একমাত্র অবলম্বন এই কার্বারি হেডম্যান সমাজ। তাই এই প্রথাগত নিয়মকে আরো বেগবান করার জন্য তিনি প্রশাসনকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান এবং তাদের সমস্ত ভালো কাজের সমর্থন জানিয়ে পাশে থাকার আশা ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দিতে গিয়ে চাকমা সার্কেলের প্রধান চীফ রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, আমাদের সমাজে এখনো অনেক কুসংস্কার রয়েছে, বিশেষ করে নারীদের চলাফেরা ও অধিকার নিয়ে নানা বিধিনিষেধ বিদ্যমান। তিনি নারীদের পিতৃসম্পত্তি লাভের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। নারী-পুরুষ একই পিতার সন্তান, সেহেতু সম্পত্তি লাভের অধিকারও সমান হওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি মং সার্কেল চীফের স্ত্রী রানী উখেংচিং মারমা, আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য রত্তোৎপল ত্রিপুরা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রুমানা আক্তার, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য ও খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক শেফালীকা ত্রিপুরা, এনআরডি উপ-পরিচালক রওশন জাহান, নারী হেডম্যান কার্বারি নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক শান্তনা খীসা-সহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা নারী হেডম্যান কার্বারি ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
মন্তব্য করুন