দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ রাজধানী সিউলে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে। গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের সামরিক আইন জারির ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর এ অভিযান চালানো হয়।
অভিশংসন ভোট এবং পদত্যাগের একাধিক আহ্বানের পরও প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল এখনও তার পদে বহাল রয়েছেন। বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন শাখা থেকে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হচ্ছে। প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগও আনা হয়েছে।
তবে প্রেসিডেন্ট ইউন সামরিক আইন ঘোষণার জন্য ক্ষমা চেয়ে জানিয়েছেন, এমন কোনো আদেশ আর কখনও দেওয়া হবে না।
গত মঙ্গলবার রাতে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি দ্রুত সামরিক আইন বাতিল করে। এরপর থেকেই প্রেসিডেন্ট ইউন অভিশংসনের প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হয়েছেন। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার আইনে, সংসদে অভিশংসিত হলেও প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতা ছাড়তে হয় না। অভিশংসনের জন্য গঠিত নয় সদস্যের কমিটিতে অন্তত ছয় জন সদস্যের একমত হওয়া জরুরি।
এদিকে সামরিক আইন জারির দায় স্বীকার করা দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন গত মঙ্গলবার রাতে আটক অবস্থায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাকে বর্তমানে একটি নজরদারি কক্ষে রাখা হয়েছে এবং তার শারীরিক কোনো সমস্যা নেই। কিম গত রোববার আটক হন।
সামরিক আইন ঘোষণার প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট ইউনের ঘনিষ্ঠ অনেক কর্মকর্তাই ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন।
মন্তব্য করুন