ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২০২৫ মার্চ ২০, ৫ চৈত্র ১৪৩১
#

দেশজুড়ে

মৌলভীবাজারের চা-বাগানে এখন উৎসবের আমেজে মুখরিত

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত : সোমবার, ২০২৫ মার্চ ১৭, ০৩:১০ অপরাহ্ন
#

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের চা-বাগানগুলো এখন উৎসবের আমেজে মুখরিত। ফাগুয়ার রঙে মাতোয়ারা চা-শ্রমিকরা, যা তাদের অন্যতম প্রধান উৎসব। নাচ, গান, রঙ খেলা ও নানা আয়োজনে সপ্তাহব্যাপী চলবে এ আনন্দোৎসব।

সরেজমিনে শ্রীমঙ্গল উপজেলার খাইছড়া ও কমলগঞ্জ উপজেলার পাত্রখলা চা-বাগানে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিক কলোনির অলিগলিতে ছড়িয়ে পড়েছে নানা রঙের ছোঁয়া। ছোট শিশুরা রঙে মাখামাখি হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, আর বড়রা একে অপরের গায়ে রঙ মেখে উৎসবের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। চা-বাগানের ঘরে ঘরে আনন্দের আবহ, আর সেই আনন্দকে আরও রঙিন করে তুলছে ঐতিহ্যবাহী কাঠিনৃত্য। রাধাকৃষ্ণ বন্দনায় গুপির দল নানা গানে মাতিয়ে তুলছে চা-শ্রমিকদের।

শ্রীমঙ্গলের ভাড়াউড়া চা-বাগানের তরুণ কাজল হাজরা ও কমলগঞ্জের পাত্রখলা চা-বাগানের প্রদীপ পাল বলেন, ‘আমাদের ছোটবেলায় ফাগুয়া আরও বড় পরিসরে উদযাপিত হতো। প্রতিটি চা-বাগান থেকে একাধিক কাঠিনৃত্যের দল বের হতো, আর প্রচুর রঙ খেলা হতো। এখন সেটার পরিমাণ কিছুটা কমে গেছে।’

স্থানীয় শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুর্গাপূজার পর এটি চা-জনগোষ্ঠীর দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎসব। ফাগুয়া উৎসবের দিনগুলোতে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দে সময় কাটানোর চেষ্টা করেন। প্রায় প্রতিটি চা-বাগানেই এক উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে।

বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, ‘চা-শ্রমিকদের কঠিন জীবনে আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে ফাগুয়া উৎসব। এটি তাদের অন্যতম প্রধান উৎসব। ফাগুয়া শুরু হওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই মেয়েরা স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। বাগানের ঘরে ঘরে ভালো রান্নাবান্না হয়, সবাই মিলে আনন্দ উপভোগ করে। চা-শ্রমিকেরা সারা বছর নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে গেলেও উৎসবের দিনগুলোতে পরিবারের সঙ্গে আনন্দের মুহূর্ত কাটানোর চেষ্টা করেন।’

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video