ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২০২৫ মার্চ ২০, ৫ চৈত্র ১৪৩১
#

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

১৭ রমজান, বদর দিবস ও হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানীর ওরশ শরীফ

মোহাম্মদ তারেক, ফটিকছড়ি প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম।
প্রকাশিত : বুধবার, ২০২৫ মার্চ ১৯, ০১:২৪ অপরাহ্ন
#

মাইজভান্ডার দরবার শরীফ গাউছিয়া রহমান মনজিলের সাজ্জাদানশীন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী বলেছেন, প্রিয় নবিজীর (দ.) প্রতি সাহাবীদের (রাঃ) ছিল অকৃত্রিম ভালোবাসা। রাসুলে পাকের (দ) জন্য জীবন দিতেও তারা দ্বিধাগ্রস্থ হন নি। তাই যখন মুসলিমদের ওপর কাফিররা জোরপূর্বক অসম এক যুদ্ধ চাপিয়ে দিল, তখন নিজেদের জীবনকে তুচ্ছ করে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বদর প্রান্তরে নিজেদের রক্ত ঝরিয়েছেন তারা। অস্ত্রে সুসজ্জিত ১০০০ কাফির সৈন্যদের বিরুদ্ধে মুসলিমরা ছিলেন মাত্র ৩১৩ জন। বাহ্যিকভাবে মুসলিম বাহিনীর শক্তি কম হলেও সাহাবীদের (রাঃ) ঈমানী দৃঢ়তা ও নবীপ্রেমই ছিল বদর যুদ্ধ বিজয়ের মূল শক্তি। মহান আল্লাহ্ তা'য়ালার বিশেষ সহায়তায় প্রিয় নবিজীর (দ) নেতৃত্বে মুসলিম বাহিনী ইসলামের এ প্রথম যুদ্ধে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে। বদর যুদ্ধ এটাও প্রমাণ করে যে, মহান আল্লাহ্ তা'য়ালার সাহায্য ঈমানদার তথা প্রিয় নবিজীর (দ) প্রতি যারা ভালোবাসা রাখে, তাদের নিকটবর্তী।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস এবং নবীকরিম (দ)র ৩০তম পবিত্র বংশধর, তরীকায়ে মাইজভান্ডারীয়ার দিকপাল, শায়খুল ইসলাম, ইমামে আহলে সুন্নাত, হুযুর গাউসুল ওয়ারা, হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী (কঃ)'র পবিত্র চন্দ্রবার্ষিক ওরশ শরীফ উপলক্ষ্যে মাইজভাণ্ডার শরীফে আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহ্ফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, ১৭ রমজানের এই মহিমান্বিত দিবসে পৃথিবী থেকে পর্দা করেন, শায়খুল ইসলাম, ইমামে আহলে সুন্নাত হযরত সাইয়্যিদ মইনুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী (কঃ)। তিনি সমগ্র বিশ্বে 'তরিক্বা-এ-মাইজভাণ্ডারীয়া'র প্রচার প্রসারের পাশাপাশি শান্তি, সম্প্রীতির জন্য কাজ করেছেন। জাতিসংঘ, ইউনেস্কোসহ বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে প্রিয় নবিজী (দ) এর আদর্শ ও ভালোবাসার বাণী প্রচার করেছেন। বাংলাদেশে বৃহৎ পরিসরে পবিত্র ঈদ-এ-মিলাদুন্নবী (দ) উদযাপনের দরজা উম্মুক্ত করেছেন। শোহাদা-এ-কারবালা মাহ্ফিলকে দেশে ও প্রবাসে ছড়িয়ে দিয়ে, আহলে বায়তে রাসুলগণের ভালোবাসাকে সমুন্নত করেছেন।

অগণিত মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খানকাহ্ শরীফ স্থাপন করে শিক্ষা ক্ষেত্রে, তাসাউফ চর্চায় অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছেন। মানবতার কল্যাণে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। হযরত সৈয়দ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট বর্তমানে অর্ধশতাধিক সেবামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তিনি 'তরিক্বা-এ-মাইজভাণ্ডারীয়া'র সংস্কার করেছেন এবং বৈশ্বিক রূপদান করেছেন। তার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকার জন্য তিনি 'বিশ্বশান্তির দূত', 'শায়খুল ইসলাম', 'তরিক্বা-এ-মাইজভাণ্ডারীয়ার দিকপাল' প্রভৃতি বিরল উপাধি অর্জন করেছেন খ্যাতিমান সংগঠন থেকে।

বিএসপি চেয়ারম্যান বলেন, তিনি মানুষকে দিয়েছেন আলোকিত পথের সন্ধান। তার পদচিহ্ন অনুসরণের মাধ্যমে আমরা মহান আল্লাহ্ ও তার প্রিয় হাবীব (দ) এর সান্নিধ্য অর্জনের পথ খুঁজে পাবো।

মাহ্ফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন, শাহ্জাদা সৈয়দ মেহবুব-এ-মইনুদ্দীন আল হাসানী, শাহ্জাদা সৈয়দ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন আল হাসানী। বিশিষ্ট ওলামায়ে আহলে সুন্নাত, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ হাজারো আশেকান মাহ্ফিলে অংশগ্রহণ করেন।

পবিত্র চন্দ্র বার্ষিক ওরশ শরীফ উপলক্ষে আগত সকল আশেকানদের মাঝে সাহরি ও ইফতারসহ তবারুক পরিবেশন করা হয়। মিলাদ কিয়াম শেষে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, দেশ ও বিশ্ববাসীর শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাইজভান্ডারী।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video