বর্তমানে চিকিৎসা খরচ ব্যয়বহুল। বেসরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসা ব্যয়বহুল। যেহেতু কোভিড রোগীর আইসিইউ বা অক্সিজেন প্রয়োজন হয়, সেহেতু স্বল্প আয়ের মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলে বেসরকারি হাসপাতালে গিয়ে সেবা নেওয়ার কথা চিন্তাও করেন না। কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসা শেষে বেসরকারি হাসপাতালের বিলের পরিমাণ দেখে স্বজনদের বিস্ময় ও হতাশা প্রকাশের বিষয়টি গত বছর প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছিল।

কোভিড চিকিৎসা ব্যয় স্বল্প আয়ের মানুষের সাধ্যের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা পর্যাপ্ত না থাকার কারণে অধিকাংশ রোগী বেসরকারি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হলে চিকিৎসা গ্রহণ করে।
করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও নানা ধরনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এক্ষেত্রে কোভিড-১৯ রোগীদের নানা ধরনের বিড়ম্বনার বিষয়টি বহুল আলোচিত। এসব সংকটের কারণে দেশে নতুন করে কী কী সমস্যা দেখা দেবে, তা নিয়ে নীতিনির্ধারকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও চিন্তিত। অধিকাংশ রোগী, সাধারণ জনগণের কাছে নেই স্বাস্থ্যসেবা কার্ড, যার কারণে হাসপাতালের ব্যয়বহুল চিকিৎসা গ্রহণ করা অনেকের পক্ষে সম্ভব না।
এ অবস্থায় কী করে মহামারি সঠিকভাবে মোকাবেলা করা যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে। দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে উদাসীন। এ অবস্থায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যাতে দেশের প্রত্যেক মানুষ এ মহামারি মোকাবেলায় সক্ষমতার পরিচয় দিতে পারেন।

সীমাবদ্ধতার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ইতিমধ্যে দেশে স্মার্ট ইজি হেলথ বাংলাদেশ লিমিটেড সারা দেশে চালু করল বার্ষিক সার্ভিস চার্জের বিনিময়ে হাসপাতাল খরচ ও গ্রাহকের মৃত্যুর পর নমীনিকে এককালীন অর্থ প্রদান সিস্টেম। ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৪ হাজার টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন প্যাকেজ রয়েছে স্মার্ট ইজি হেলথ বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানির।

স্টুডেন্ট হেলথ কার্ড প্যাকেজসহ মোট ১৬ ধরনের প্যাকেজ রয়েছে। অনলাইনে বা অফলাইনে গ্রাহক কার্ডের চাহিদা দিলে কুরিয়ার বা পোস্ট অফিসের মাধ্যমে গ্রাহকের ঠিকানায় পৌঁছে যাবে স্বাস্থ্যসেবা কার্ড। গ্রাহকের হেলথ কার্ড, দলিল, উক্ত প্যাকেজের বিস্তারিত তথ্য থাকবে।
অনলাইনে গ্রাহকদের তথ্য যাচাইয়ের সুযোগও রয়েছে। www.sehblbd.com সাইটে প্রবেশ করে গ্রাহক তার কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা কার্ড অর্ডার করতে পারবেন।

এই বিষয়ে স্মার্ট ইজি হেলথ বাংলাদেশ লিমিটেড-এর এক্সিকিউটিভ অফিসার নুরুল ইসলাম হিরো বলেন, স্মার্ট ইজি হেলথ বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানির সফটওয়্যার এবং সম্পূর্ণ সিস্টেমটি বিদেশি স্বাস্থ্যসেবা কার্ডের অনুরূপ। তিনি আরও বলেন, সরকারের উদাসীনতার কারণে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছে। দেশের মানুষ স্বাস্থ্যের প্রতি উদাসীন, হাসপাতাল, ল্যাব টেস্ট, ডাক্তারের পরামর্শ ফি জোগাড় করতে না পারার কারণে অনেকে ডাক্তারের কাছে গিয়ে চিকিৎসা নেন না।
গ্রামের সাধারণ মানুষ ফার্মেসি থেকে স্বল্প টাকায় ওষুধ ক্রয় করে চিকিৎসা সেবা নেন। অধিকাংশ গ্রামের হাসপাতালে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা নেই। সবাই শহরমুখি হয়, কিন্তু শহরের নামীদামী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করা সবার পক্ষে সম্ভব না।

স্মার্ট ইজি হেলথ বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানির প্রতিটি প্যাকেজের মেয়াদ ১ বছর।
১০০০ টাকা সার্ভিস চার্জের বিনিময়ে ২০ হাজার টাকা চিকিৎসা খরচ, ২০০০ টাকায় ৫০ হাজার টাকা চিকিৎসা খরচ, এভাবে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা খরচ প্রদান করা হয়।

ইতিমধ্যে স্টুডেন্ট হেলথ কার্ড সুবিধাও চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ৩-১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য ১০০০ টাকার সার্ভিস চার্জের বিনিময়ে ২০ হাজার টাকা চিকিৎসা খরচ এবং বাবা-মায়ের মৃত্যুতে সন্তানের কাছে এক লাখ টাকা মৃত্যু দাবি হিসেবে প্রদান করা হবে।

কাগজপত্র জমাদানের ৫ দিনের মধ্যে গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চিকিৎসা খরচের টাকা পৌঁছে যাবে।
নুরুল ইসলাম হিরো বলেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম শহরের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্টুডেন্ট হেলথ কার্ডের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য চট্টগ্রাম সিটিতে ১৫ জন দক্ষ মার্কেটিং অফিসার প্রচার চালিয়ে স্বাস্থ্যসেবা কার্ড বিক্রি করছেন। হেলথ সার্ভিস পয়েন্ট হিসেবে চট্টগ্রামের চকবাজারে রয়েছে তাদের সেলস অফিস।