চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুরে পরিবেশ আইন অমান্য করে বিভিন্ন স্থানে ফসলী জমি কেটে ইটভাটায় সরবরাহ করছে মাটি খেকোরা। ফলে একদিকে যেমন কমছে ফসলী জমি, অন্যদিকে হুমকির মুখে পরিবেশের ভারসাম্য। মাটি বহনকারী ট্রলিগাড়িতে নষ্ট হচ্ছে জনগণের ব্যবহৃত চলাচলের রাস্তা। এছাড়াও, পাশে অবস্থিত কয়েকটি বসতবাড়ি পড়েছে হুমকির মুখে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইসলামপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড খলিফাপাড়ার পূর্ব বিলে ৫০-৬০ ফুট গভীর করে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ইসলামপুর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ পারভেজ চৌধুরী। তিনি স্থানীয় জাহাঙ্গীর চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি থেকে ফসলি জমির মাটি কিনে বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, নির্বিচারে মাটি কাটার ফলে ফসলী জমি গুলো বর্তমানে ৫০-৬০ ফুট গভীরতম করা হয়েছে। সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় পাচার করছেন। বিশেষ করে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার পর এই মাটি ১০ চাকা বিশিষ্ট ডাম্পার লরি যোগে সারা রাতভর চলে পাচার কার্যক্রম। যেভাবে ফসলি জমি খনন হচ্ছে, তাতে আগামী বর্ষা আসার আগেই পাশে থাকা ঘরবাড়িগুলো ভেঙে পড়বে। মাটিকাটা বন্ধের প্রতিবাদ করলে এলাকাবাসীদের বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এদিকে, মাটিকাটা বন্ধে দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান বলেন, অভিযান অব্যাহত রয়েছে, ইতিপূর্বে অভিযানে ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার অপরাধে অনেকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন