রাঙ্গুনিয়ায় বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সচিব ও উপজেলার সৈয়দবাড়ি ধর্ম প্রবর্তন বৌদ্ধ বিহারের বিহারধ্যক্ষ কর্মবীর করুণাশ্রী থের’র দুইদিনব্যাপি 'মহাথের'র বরুণোৎসব ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজারো পুন্যার্থীর ঢল নামে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠানের শেষ দিন সকাল ৮ টায় ধর্মীয় কর্মসূচির মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। দুপুরে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার উপসংঘনায়ক রতনশ্রী মহাথের। আশীর্বাদক ছিলেন ২৯ তম সংঘনায়ক ড. বনশ্রী মহাথের। প্রধান জ্ঞাতি ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভিক্ষু মহাসভার সভাপতি সুনন্দ মহাথের। প্রধান সদ্ধর্মদেশক ছিলেন খৈয়াখালি ধম্মবিজয়ারাম বিহারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক উ পঞ্ঞা চক্ক মহাথের। মূখ্য আলোচক ছিলেন সিরাগঞ্জ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ—উপাচার্য ড. সুমন কান্তি বড়–য়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান। উদ্বোধক ছিলেন মহাথের বরুনোৎসব উদ্যাপন পরিষদের উপ—প্রধান পৃষ্ঠপোষক শিল্পী রেখা বড়–য়া। বক্তব্য দেন শিক্ষাবিদ তরুণ কান্তি বড়–য়া, বৌদ্ধ ভিক্ষু জ্ঞানানন্দ মহাথের, অভয়ানন্দ মহাথের, ড. প্রিয়দর্শী মহাথের, শাসনরত্ন সুমিত্তানন্দ থের, সংঘানন্দ মহাথের, বরুনোৎসব উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সুমেধানন্দ মহাথের ও সাধারণ সম্পাদক অশোক তালুকদার।
এর আগের দিন বৃহষ্পতিবার সকালে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পালি ও অ্যান্ড বুড্ডিস্ট স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর একুশ পদকপ্রাপ্ত ড. সুকোমল বড়–য়া। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সভাপতি প্রিয়ানন্দ মহাথের। উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ যুব পরিষদ জাতীয় কমিটির সভাপতি চিন্ময় বড়–য়া রিন্টু। আশির্বাদক ছিলেন বৌদ্ধ ভিক্ষু ড. জ্ঞানশ্রী মহাথের।
দুইদিনব্যাপি অনুষ্ঠানে ছিল পবিত্র ত্রিপিটক পাঠ, জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, অষ্টপরিষ্কারসহ মহাসংঘদান ও সদ্ধর্মসভা, বিহার কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় ভবনের দ্বারোদ্ঘাটন, মহাথের বরুণোৎসব সংবর্ধনা, নব-বরিত মহাথের’র জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা।
মন্তব্য করুন