চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগের দিন (চাঁদ রাত) আতশবাজি, ফটকা ফুটানো ও বিক্রি বন্ধের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহমুদুল হাসানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে। বুধবার (১৯ মার্চ) সকালে সৈয়দবাড়ি এলাকার সচেতন মুসলিম সমাজের ব্যানারে এই স্মারকলিপি দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলেমেদ্বীন হাফেজ মাওলানা আবদুর রহমান জামী, সৈয়দবাড়ি জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মঈন উদ্দিন সিকদার, পেশ ইমাম মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন তৈয়্যবী মিঞা, সৈয়দবাড়ি সুন্নী নূরানি একাডেমির শিক্ষক মো. কাউসার হোসাইন, স্থানীয় ব্যবসায়ী রুবায়েত সাহেদ সাঁকো, প্রবাসী মো. নাছের উদ্দিন প্রমুখ।
স্মারকলিপি দেয়ার পর তারা বলেন, রোজাদারদের জন্য ঈদুল ফিতরের আগের রাত অর্থাৎ চাঁদরাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও আনন্দের রাত। শাওয়ালের প্রথম রাত হিসেবে এটি ইবাদতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। অনেকেই এই রাতে ইবাদতে মশগুল থাকেন। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, গত কয়েক বছর ধরে সৈয়দবাড়িসহ রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন এলাকায় কিছু উঠতি শিশু-তরুণ ফটকা ও আতশবাজি পুড়িয়ে অপসংস্কৃতিতে লিপ্ত হয়, যা মুসলমান সমাজে কাম্য নয়।
তারা আরও বলেন, ফটকার শব্দ ইবাদতের একাগ্রতা নষ্ট করে, চারপাশে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে। অসুস্থ, বয়স্ক ও শিশুরা আতঙ্কে সময় কাটায়। আতশবাজি ও ফটকা ফুটাতে গিয়ে গত কয়েক বছরে অন্তত ১০ জন শিশু আহত হয়েছে, বাড়িঘরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে। এই বিষয়টি প্রতিরোধে তারা ইউএনও’র হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহমুদুল হাসান বলেন, "ফটকা ফুটানোর বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেব।"
মন্তব্য করুন