রাউজান উপজেলায় সনাতনী সম্প্রদায়ের ওপর চলমান নির্যাতন, নিপীড়ন, বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধে এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি জোরদারের লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২ জুন রাউজান উপজেলা কনফারেন্স হল রুমে আয়োজিত এই সভায় রাউজানের বিভিন্ন ধর্মীয় সংগঠন, মন্দির কর্তৃপক্ষ এবং সনাতনী সমাজের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিসান বিন মাজেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া।
উপস্থিত ছিলেন রাউজান উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সম্মানিত সাধারণ সম্পাদক সুমন দাশগুপ্ত।
সভায় বক্তারা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, অধিকার রক্ষা এবং সাংগঠনিক ঐক্য গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বক্তৃতায় উঠে আসে সম্প্রদায়ের সদস্যদের সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান এবং সমাজে ধর্মীয় সহনশীলতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার প্রত্যয়।
সভায় বিভিন্ন ইউনিয়ন ও মন্দির থেকে যাঁরা বক্তব্য প্রদান করেন—
বিনাজুরী ইউনিয়নের মানিক চক্রবর্তী, ঝুলন আচার্য্য; চিকদাইর ইউনিয়নের বিপ্লব দাশ, দোলন দে; দক্ষিণ রাউজান গঙ্গা মন্দিরের শিক্ষক সমির চন্দ্র দে;
নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জে কে শর্মা জনি;
নববারদী কৈলাশ ধামের শ্রীমৎ সমর নাথ ব্রহ্মচারী;
রাসবিহারী ধাম কেন্দ্রীয় মন্দিরের অনুপম দাশগুপ্ত;
গশ্চি নোয়াহাটের ভক্ত চরন দাস ব্রহ্মচারী; পাহাড়তলী ইউনিয়নের চন্দন দাস; দেওয়ানপুরের কৃষ্ণ ঘোষ; হলদিয়া ইউনিয়নের বাপ্পা দে;
আদ্যা পীঠ মন্দিরের বিজয় বিশ্বাস; দশভুজা সংসদের মাধব নন্দী;
রাউজান উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের মহিলা সম্পাদিকা জয়শ্রী বৈষ্ণব;
পূর্ব গহিরা জনকল্যাণ সংসদের রাহুল ঘোষ; রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক মানু কর্মকার;
পারিজাত সংসদের প্রান্ত দাশ; নোয়াপাড়া পল্লীমঙ্গল সমিতির শয়ন দে।
সভায় রাউজান উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুমন দাশগুপ্ত অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বক্তব্য রাখেন এবং সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
সুলতানপুর নবগ্রহ মন্দিরের পরিচালক শ্রীযুক্ত সুকান্ত আচার্য্য ধর্মীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাউজান ঐক্যবদ্ধ সনাতনী সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ—শ্রীরাম শুভ দাশ, অমর দাশ গুপ্ত, রূপস দাশ গুপ্ত, ভ্রমর দাশ, সুজন দাশ, সাগর দাশ, বাবু দাশ, নুপুর পাল, মাধুর্য পাল, হিমাদ্রি পাল ইমন, শিক্ষক রঞ্জিত দেব এবং ডা. লিটন শর্মা প্রমুখ।
এ উপলক্ষে আয়োজিত সভাটি এক হৃদয়গ্রাহী মিলনমেলায় পরিণত হয়। সকল বক্তার বক্তব্যে ধর্মীয় সহনশীলতা, পারস্পরিক সম্মান, সাংগঠনিক শক্তি এবং সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতি অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত হয়।
মন্তব্য করুন