মহান ১০ মাঘ গাউসুল আজম হযরত সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভাণ্ডারী (কঃ)-এর পবিত্র ১১৯তম বার্ষিক ওরশ মোবারকের সমাপনী দিবস চাহরাম শরীফ কেন্দ্রীয় মিলাদ, কিয়াম, মুনাজাত এবং তবাররুকাত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়। এটি পরিচালনা করেন গাউসিয়া হক মনজিলের সম্মানিত সাজ্জাদানশীন রাহবারে আলম হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (মঃ)।
কেন্দ্রীয় মুনাজাতে তিনি বলেন, "ওরশ মোবারকের সমাপনী দিবসে আশেক-ভক্তরা যার যার নিজ নিজ আলয়ে ফিরে যাবেন। আপনার বান্দারা দয়ার আশায়, ক্ষমার আশায়, শান্তির আশায় এবং মুক্তির আশায় হাত তুলেছে। সকলের ফরিয়াদ কবুল করুন, মওলা!"
তিনি চাহরাম শরীফে আয়োজিত ফলার ফাতেহা, তবাররুকাত পরিবেশনা এবং অন্যান্য এন্তেজাম কবুল করার জন্য মহান রব্বুল আলামিনের দরবারে আকুল প্রার্থনা করেন। এসব তবাররুকাত যেন রুহানি এবং জিসমানি রোগের শেফা হিসেবে কার্যকর হয়—এমন আশাও ব্যক্ত করেন।
হুজুর গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী (কঃ), গাউসুল আজম বিল বিরাসাত হযরত বাবা ভাণ্ডারী কেবলা আলম, কুতুবুল এরশাদ শাহ সুফি সৈয়দ আমিনুল হক ফানায়ে ওয়াসেল মাইজভাণ্ডারী (কঃ), অছিযে গাউসুল আজম শাহ সুফি সৈয়দ দেলাওয়ার হোসাইন মাইজভাণ্ডারী (কঃ), এবং বিশ্ব অলি শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ)-এর নজরে-করম ও ফয়জে-বরকত সকলের জন্য মনজুর করার জন্য তিনি প্রার্থনা করেন।
তিনি সকলের জন্য অফুরন্ত রহমত, রুটি-রুজির বরকত, শারীরিক সুস্থতা, পিতা-মাতার দীর্ঘ হায়াত এবং পরিবারের দায়িত্ব পালনের তৌফিক দান করার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে আকুল প্রার্থনা করেন।
দেশে ও বিদেশে অবস্থানরত মাইজভাণ্ডারি আশেকগণ ও গাউসিয়া হক কমিটির সদস্যদের জীবনে শান্তি এবং সকল প্রকার বালা-মসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য দোয়া করেন। যারা দীর্ঘদিন ধরে সামনে থেকে বা পর্দার আড়ালে থেকে দরবারে পাকের খেদমত করে আসছেন, তাদের খেদমত যেন মহান আল্লাহ কবুল করেন, সেই প্রার্থনাও জানান।
পরিশেষে পবিত্র চাহরাম শরীফে উপস্থিত অগণিত আশেক-ভক্ত ও জায়েরীণদের মধ্যে ফলারাদি ও তবাররুকাত পরিবেশন করা হয়।
মন্তব্য করুন