সমাজের উন্নয়ন ও মানবিক কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী মরহুম হোসাইন মেম্বার আজও আমাদের হৃদয়ে চিরস্মরণীয়। তাঁর ১৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় স্মরণ করি এই মহান ব্যক্তিত্বকে, যিনি ন্যায়পরায়ণ নেতৃত্ব ও মানবিক আদর্শের প্রতীক হয়ে আছেন।
জীবন ও কর্মের সংক্ষিপ্ত চিত্র
১৯৩৮ সালে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করা মরহুম হোসাইন মেম্বার তাঁর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন মানুষের সেবায়। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং শিক্ষার প্রসারে তিনি নিরলসভাবে কাজ করেছেন।
১৯৯২ সালে তিনি আব্দুল জলিল চৌধুরী বহুমুখী (কৃষি) উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে মসজিদ, মাদ্রাসা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বিশেষ করে শিকলবাহা চৌমুহনী আলহাজ্ব আবদুর রশীদ মসজিদের পুনর্নির্মাণে তাঁর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
নেতৃত্ব ও মুক্তিযুদ্ধ
মরহুম হোসাইন মেম্বার একজন আদর্শ নেতা ছিলেন, যিনি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে অসামান্য সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্ব, আন্তরিকতা ও ন্যায়বিচার সমাজের প্রতিটি স্তরে আলো ছড়িয়েছে।
মৃত্যু ও উত্তরাধিকার
২০০৭ সালের ১৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্রসন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর জানাজার নামাজ শেষে ১৮ জানুয়ারি ফকিরা মসজিদ কবরস্থানে মা-বাবার পাশে তাঁকে দাফন করা হয়।
কর্মজীবনের প্রভাব
তাঁর জীবন ছিল ত্যাগ ও মানবিকতার উজ্জ্বল উদাহরণ। সততা, নেতৃত্ব ও সেবার মানসিকতা তাঁকে একজন অনন্য ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে। তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শ আজও আমাদের জন্য এক অনুপ্রেরণা।
শ্রদ্ধা ও প্রার্থনা
আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি, তিনি মরহুম হোসাইন মেম্বারকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন এবং তাঁর আত্মাকে শান্তি দান করুন। তাঁর কর্ম, আদর্শ এবং দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের জীবনে পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে।
মরহুম হোসাইন মেম্বার ছিলেন এক আলোকিত অধ্যায়। তাঁর অনুপস্থিতি অনুভূত হলেও, তাঁর রেখে যাওয়া আদর্শ আমাদের ভবিষ্যতের পথচলায় চিরকাল প্রাসঙ্গিক থাকবে।
মন্তব্য করুন