চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাহারচড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মমতাজ উদ্দিন ও তার স্ত্রী মেরিনা আক্তার (বর্তমান মহিলা মেম্বার) এর বিরুদ্ধে পরিষদের পুরাতন ভবন জবরদখল করে বসতি স্থাপন ও ভাড়া প্রদান, সরকারি খাস পুকুর অবৈধ ভাবে দখল,সরকারি বরাদ্দকৃত ১৭৮ টি মোবাইল ব্যাংকিং সীম নিজের জিম্মায় রাখাসহ নানা অনিয়ম ও দূর্ণীতির অভিযোগে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক অভিযোগ দিয়েছে চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী।এরই প্রেক্ষিতে তদন্তের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার, চট্টগ্রাম।
অভিযোগ ও প্রজ্ঞাপন সুত্রে জানা গেছে, তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে তথা বিগত ১৫ ধরে সাবেক ইউপি সদস্য মমতাজ উদ্দিন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বাহারচড়া ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন ভবনটি জবরদখল করে বসতি স্থাপন ও সিগারেট কোম্পানিকে ভাড়া দিয়ে অবৈধ উপার্জন, একই ভাবে দলবল নিয়ে পরিষদ সংশ্লিষ্ট সরকারি খাস পুকুরটি জোরপূর্বক দখল ও ভোগ করা এবং বিগত ১০ বছর যাবত হতদরিদ্র পরিবারের জন্য আসা সরকারি বরাদ্দকৃত ১৭৮ টি মোবাইল ব্যাংকিং সীম নিজের জিম্মায় রেখে অর্থ আত্মসাৎ করাসহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বরাবর ১টি, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক বরাবর ১টি, বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর ১টি, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) বাঁশখালী বরাবর ১টি, অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাঁশখালী থানা বরাবর ১টি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, মেজর বাঁশখালী বরাবর ১টিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক অনুলিপি দিয়েছে বাহারচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী। এরই প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণে গত ২৩ অক্টোবর ২৪ ইং তারিখে মো: সাদি উর রহিম জাদিদ উপ-পরিচালক (অতি: দা:) স্থানীয় সরকার, চট্টগ্রাম স্বাক্ষরিত বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে এই প্রজ্ঞাপন প্রেরণ করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে বাহারচড়া ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সাবেক ইউপি সদস্য মমতাজ উদ্দিন ও তার স্ত্রী মেরিনা আক্তার বর্তমান মহিলা মেম্বারের বিরুদ্ধে সরকারি পুকুর দখল, পরিষদের পূরাতন ভবন দখল করে বসতি স্থাপন ও ভাড়া প্রদান, সরকারি বরাদ্দকৃত ১৭৮টি মোবাইল ব্যংকিং সীম তাদের জিম্মায় রেখে দেয়া, খাদ্য বন্ধব ডিলার নিয়োগে হস্তগত করে খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসকে মেনেজ করে নিজের নামে ডিলার গ্রহণ করাসহ নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলেও জানান চেয়ারম্যান রেজাউল করিম।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও জেসমিন আক্তারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন