বাঁশখালীতে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চুরি করার সময় কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার সিএনজি চোর চক্রের ৪ সদস্যকে ধরে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের পূর্ব পালেগ্রাম হালিমের বাপের বাড়ি থেকে উক্ত চার সদস্যকে হাতেনাতে ধৃতকরে জনতা।
ধৃত চোর চক্র সদস্যরা হলো- কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার টৈইটং ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের জেসমিনের বাপের বাড়ি এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র শাহাদাত হোসেন (১৯), একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড এলাকার আইশার বর বাড়ির মোজাহের মিয়ার পুত্র একরাম মিয়া (১৯), একই ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মমতাজের বাপের বাড়ির মৃত আব্দুস শুক্কুরের পুত্র শাহাদাত হোসেন (২০) এবং ১নং ওয়ার্ড এলাকার শহিদের বাপের বাড়ি মো. করিম।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব পালেগ্রাম হালিমের বাপের বাড়ির উঠানে রাখা ইউসুফের সিএনজি চালিত অটোরিকশা চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকার জনতা ওই চোর সদস্যদের হাতেনাতে ধৃত করে, পরে তাদের পুলিশে দেয়।
ধৃত চোর চক্র সদস্যরা বাঁশখালীর কালীপুর ও সাধনপুরের একটি সক্রিয় চোর সিন্ডিকেটের সাথে আঁতাত করে বিভিন্ন এলাকা থেকে সিএনজি এবং ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ি চুরি করে আসছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
সাম্প্রতিক গত ৩ নভেম্বর ২৪ ইং সাধনপুরের আবু ছালেকের পুত্র (সিএনজি চোর চক্রের আরেক সদস্য) মিনহাজ উদ্দীন নামে আরেক চোর চক্র সদস্য গুনাগরীর সিএনজি স্টেশন থেকে সরল ইউনিয়নের জালিয়াঘাটা এলাকার আব্দুল মালেক এর এক সিএনজি ভাড়া নেয়ার কথা বলে নিয়ে যায়, পরে কালীপুর ও সাধনপুরের আরো কয়েকজন চোর সদস্যের যোগসাজশে সিএনজিটি আত্মসাৎ করে ফেলে। এরপর থেকে সিএনজি মালিক অসহায় আব্দুল মালেক তার সিএনজিটি আর ফেরত পায়নি।
উক্ত সিএনজি চোর মিনহাজের সহযোগিতায় ধৃত সিএনজি চোর চক্র সদস্যরা বাঁশখালীতে সিএনজি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছে।
ধৃত চোর চক্র সদস্যদের কাছ থেকে একটি ধারালো ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় চোর সিন্ডিকেট সংক্রান্তে সঠিক তথ্য উদঘাটন করতে ধৃত চোর সদস্যদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ধৃত সিএনজি চোর চক্রের ৩ সদস্যকে থানায় আনা হয়েছে, পরে থানা থেকে তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন