ঢাকা , রবিবার, ২০২৪ Jun ১৬, ২ আষাঢ় ১৪৩১
#

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাঁশখালীতে পল্লী বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিলে বিপাকে গ্রাহকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক,বাঁশখালী,চট্টগ্রাম
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২০২৪ মে ২৩, ০৫:৩৪ অপরাহ্ন
#

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পল্লী বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিলে চরম বিপাকে পড়েছে গ্রাহকরা, এমন অভিযোগ করেছে বেশ কয়েকজন গ্রাহক।

গ্রাহকদের অভিযোগ, চলতি মাসে পল্লি বিদ্যুৎ অফিস কতৃক প্রদত্ত বিলের কাগজে গত মাসের তুলনায় তিন গুণের বেশি বিল লেখা হয়েছে।

২৩ মে (বৃহস্পতিবার) ডুবাই প্রবাসী আবুল কালাম জানান, এপ্রিল মাসে ভ্যাট ,ডিমান্ড চার্জ , মিটার ভাড়াসহ ৩,৬০৬টাকা বিল আসলেও মে মাসের বিদ্যুৎ বিলের কাগজে ডিমান্ড চার্জ ৫০৪ টাকা, মিটার ভাড়া ১০ টাকাসহ ১০,৮০১ টাকার বিলের কাগজ পাঠিয়েছে বিদ্যুৎ অফিস। যাহা গত মাসের তুলনায় আরো তিন গুণের বেশি বিল লেখা হয়েছে।

এতো অতিরিক্ত বিল কিভাবে আসলো তা বুঝতে পারছিনা, এসময় তিনি আরো বলেন, এবিষয়ে পল্লি বিদ্যুতের অফিসের সাথে যোগাযোগ করেছি, তারা বলছে আমার মিটার নাকি নষ্ট হয়ে গেছে, ওই মিটারে আরো প্রায় ৬ হাজার টাকার অধিক মিটার বিল নাকি জমা আছে, মিটার ঠিক করতে হলে আমাকে সব মিলিয়ে প্রায় ১৮ হাজার টাকার বেশি বিল পরিশোধ করতে হবে।

পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের লোকজনের এমন কথায় আমি আরো বেশি বিপাকে পড়ে গেছি। পল্লী বিদ্যুতের এমন দূর্নীতি ও প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের হয়রানি করলেও দেখার কেউ নেই। তাদের হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানান এই রেমিট্যান্সযোদ্ধা আবুল কালাম।

জলদি বাহরউল্লাহ পাড়ার সিএনজি চালক মোঃ ইমরান হোসেন বলেন,আমার মিটারে গত মাসের চেয়ে এমাসে দ্বিগুণ বেশ বিল আসছে। আমরা গরীব মানুষ, দ্রব্য মূল্য উর্ধ্বগতির কারণে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি কিন্তু এরই মধ্যে পল্লী বিদ্যুতে অনিয়ম ও দূর্ণীতির খপ্পরে পড়ে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে আমার মতো অনেক মানুষকে।

একই ভাবে বেশ কিছু বিদ্যুৎ গ্রাহকদের কাছ থেকে এই অভিযোগ পাওয়া গেছে। গ্রাহকরা বলেন,তীব্র তাপদাহের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে এমনিতেই অতিষ্ঠ মানুষ, এরই মধ্যে ভূতুড়ে  বিলে বিপাকে পড়েছি। ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকেনা কিন্তু বিদ্যুৎ বিল আসে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন গুণ বেশি।

বিলের কাগজ নিয়ে অফিসে গেলেও কোন সুরাহা পাচ্ছিনা, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে টাকা ছাড়া কোনো সেবাই মিলেনা, এমন অফিসের লোকজন টাকা ছাড়া কোনো কথাই বলেনা বলেও অভিযোগ করেন গ্রাহকরা। পল্লী বিদ্যুতের অনিয়ম, দূর্নীতি ও হয়রানি থেকে বাঁচতে সরকারের সহযোগীতা কামনা করেন গ্রাহকরা।

এবিষয়ে বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএম রীশু কুমার ঘোষ এর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিল কতো আসছে সেটা না মিটারের রিডিং বিল ঠিক আছে কিনা সেটা দেখেন, মিটারের রিডিং দেখার দায়িত্ব কার? জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিলের কাগজ নিয়ে অফিস আসেন। ডিজিএম রীশু কুমার ঘোষের এমন বক্তব্যে বিব্রত সচেতন মহল।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video