ফটিকছড়ি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল আমিনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের জরিমানার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এর পরপরই তাঁকে বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে বদলি করা হয়েছে।
ফটিকছড়িতে যোগদানের মাত্র ২৮ দিনের মাথায় পার্বত্য জেলার রোয়াংছড়িতে বদলির বিষয়টি এখন টক অব দ্য ফটিকছড়িতে পরিণত হয়েছে।
জানা যায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সুয়াবিল এলাকায় অবৈধভাবে টিলা কাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালান এসিল্যান্ড। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত একটি এস্কেভেটর ও দুটি ড্রাম ট্রাক জব্দ করা হয়। পরদিন ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানার বিনিময়ে এস্কেভেটর ও ট্রাক দুটি ছেড়ে দেওয়া হলেও রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হয় মাত্র ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, "জরিমানার অংক ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা বলে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।" জরিমানার রশিদ দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, "যেদিন গাড়িগুলো ছাড়িয়ে নেওয়া হয়, সেদিন আমি ছুটিতে যাচ্ছিলাম, তাড়াহুড়ার কারণে রশিদ দিতে পারিনি।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, "এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তবে তাঁর বদলির বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনার ভালো বলতে পারবেন।"
মন্তব্য করুন