হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ হাটহাজার উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাও.এমরান সিকদারের ছোট ভাই মো.ওসমান সিকদার (৪০) নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পতেঙ্গা থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালের দিকে পতেঙ্গা চরপাড়া রিং রোডের এসএপিএল পার্কিং সংলগ্ন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার করা লাশটি হাটহাজারী উপজেলার মেখল ইউপির দক্ষিণ পশ্চিম মেখল ৭ নং ওয়ার্ডের রুহুল্লাপুর সিকদার বাড়ির মৃত শাহআলমের পুত্র। সে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের সিভিল অ্যাভিয়েশনে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সূত্রে জানা যায়, ওসমান গতকাল সন্ধ্যার দিকে হাটহাজারীর মেখলস্থ নিজ বাড়ি থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বের হন। তার পরিবার গ্রামের বাড়িতেই থাকতেন। কর্মস্থলে স্টাফ কোয়াটারে রুমও ছিল তার। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা পতেঙ্গার চরপাড়া রিং রোডের এসএপিএল পার্কিং পয়েন্টের সামান্য দূরে রাস্তার পাশে একটি লাশ পড়ে থাকতে পুলিশ কে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিচয় শনাক্তের পর সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি শেষে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের ভাই হেফাজত নেতা মাও.এমরান সিকদার অভিযোগ করেন, বুধবার রাত তিনটার দিকে কর্মস্থলের স্টাফ বাসা থেকে ওসমানকে ৭/৮ জন মিলে ধরে নিয়ে যায়। পূর্ব শক্রতার জের ধরে তার ভাইকে খুন করা হয়েছে। তার পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে বলেও জানান তিনি।
হেফাজতে ইসলাম হাটহাজারী উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মাও.আসাদ উল্লাহ জানান, ওসমান একজন নম্র বিনয়ী।তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন করেছ।আমরা হেফাজতে ইসলাম হাটহাজারী উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে দ্রুত জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
লাশ উদ্ধারের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম জানান, নিহত ওসমানের সোমাইয়া (১০),সামিয়া (৭) ও আলামিন (২) নামের তিন সন্তানের জনক ছিলেন।
পতেঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মাহফুজুর রহমান এবং হাটহাজারী মডেল থানার ওসি আবু কাওসার মাহমুদ হোসেন লাশ উদ্ধারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন