ঢাকা , মঙ্গলবার, ২০২৪ এপ্রিল ৩০, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
#

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নাড়ির টানে গ্রামে ছুটছেন শত শত মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : শনিবার, ২০২৪ এপ্রিল ০৬, ১১:০০ পূর্বাহ্ন
#

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল ফিতর। ঈদ আনন্দ প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়ার ঐতিহ্য বাঙালির দীর্ঘদিনের। তাই তো শত ভোগান্তি ঠেলে নাড়ির টানে গ্রামে ছুটছেন মানুষ।

বৃহস্পতিবার অফিস শেষেই ঈদের ছুটিতে বাড়ি গেছেন অনেকে। শুক্রবারও (৫ এপ্রিল) ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। তবে এখনও ঘরমুখো মানুষের ঢল নামেনি। রোববার (৮ এপ্রিল) সরকারি অফিসের পাশাপাশি অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও খোলা। তাই ধারণা করা হচ্ছে সোমবার (৯ এপ্রিল) থেকেই বাড়ি ফেরা মানুষের ঢল নামবে। এদিকে শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকেই ট্রেনে উপচে ভিড় থাকলেও যাত্রীর চাপ নেই বাসে। রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও যাত্রাবাড়ীর টিকিট কাউন্টার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

মহাখালী বাস টার্মিনালে দেখা গেছে, হাতে শপিং ব্যাগ, কাঁধে ঝুলানো ব্যাগ, লাগেজসহ বিভিন্ন কাউন্টারে ভিড় করছেন যাত্রীরা। এনার কাউন্টারের সামনে দীর্ঘ লাইন দেখা গেল। অন্যান্য কাউন্টারগুলোতেও প্রায় একই চিত্র। এছাড়া এই বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া লোকাল বাসগুলোও টার্মিনাল ছেড়ে যাচ্ছে দ্রুত, প্রতিটি বাসেই বেশ যাত্রী রয়েছেন। এনার কাউন্টারের সামনে কথা হলে বেসরকারি চাকুরিজীবী সজীব বলেন, ময়মনসিংহ যাব। আগামী সপ্তাহে আর অফিস করব না। একেবারেই চলে যাচ্ছি। ঈদ করে ঢাকায় ফিরব। তিনি আরও বলেন, কাউন্টারের সামনে লাইনে আধা ঘণ্টা ধরে অপেক্ষায় রয়েছি। ভালোই ভিড় হচ্ছে।

সৌখিন পরিবনের যাত্রী হাসিব বলেন, ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর পরই সৌখিন পরিবহনের বাস ছেড়ে যাচ্ছে। ভালোই যাত্রী রয়েছে। ঈদের ভিড় এখন শুরু হয়ে গেছে।

এদিকে, হাতে-কাঁধে ব্যাগ, যাত্রীদের ছোটাছুটি, কাউন্টারের সামনে সংশ্লিষ্টদের হাঁকডাক আর সারি সারি গাড়ি সবই রয়েছে। তবে ঈদের অন্তত পাঁচ দিন আগে দূরপাল্লার বাস কাউন্টারগুলোর সামনে এবার ঘরমুখী মানুষের ভিড় অনেকটা কম।

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও যাত্রাবাড়ীর টিকিট কাউন্টার ঘুরে পরিবহনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্রই জানা গেছে। সায়েদাবাদের সেঁজুতি পরিবহনের কাউন্টার ব্যবস্থাপক মো. জয়নাল আবেদিন জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করা চারটি গাড়ি ছেড়ে গেছে, কিন্তু কোনো গাড়িই পূর্ণ যাত্রী পায়নি। এ কারণে তাঁকে খানিকটা চিন্তিত দেখা গেল। তবে গাবতলী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে।

এদিকে, ঈদযাত্রার শুরুতে যানবাহনের চাপ বেড়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়ক, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চট্টগ্রামমুখী যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে। যা শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত রয়েছে। যানবাহনের অতিরিক্ত চাপের কারণে মেঘনা সেতু থেকে কুমিল্লার দাউদকান্দি মেঘনা-ঘোমতী সেতু পর্যন্ত যানবাহন ধীর গতীতে চলাচল করছে বলে জানিয়েছে গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হুমায়ুন কবির। একই অবস্থা অন্যান্য মহাসড়কগুলোরও।

বাসে তূলনামূলক ভিড় কম থাকলেও প্রতিটি ট্রেনে ছিল উপচে পড়া ভিড়। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন ও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, স্টেশনে ট্রেন ঢুকলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন যাত্রীরা। ট্রেনের দরজা দিয়ে উঠতে না পেরে জানালা দিয়ে উঠছেন কেউ কেউ। আবার কেউ কেউ ট্রেনের ছাদে উঠে পড়ছেন, উঠছেন ইঞ্জিনেও। সীমাহীন ঝুঁকি নিয়ে হাজারো যাত্রী ঈদ করতে যাচ্ছেন আপনজনের কাছে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video