ঢাকা , রবিবার, ২০২৫ এপ্রিল ২০, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
#

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

"দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক সরকার চায়" - ব্যারিস্টার মীর হেলাল

আ.ন.ম সেলিম উদ্দিন, পটিয়া প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম।
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২০২৫ ফেব্রুয়ারী ১১, ০৩:৩৩ অপরাহ্ন
#

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় দেশের ভেতরে ও বাইরে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ব্যাপক ষড়যন্ত্র চলছে। পতিত সরকারের দোসররা নানামুখী উস্কানি দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি সহ নানান কারণে দেশের মানুষ অস্বস্তিতে রয়েছে। এই অবস্থায় অতি দ্রুত একটি জাতীয় নির্বাচন দরকার, যা এখন বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের দাবি। কোন ধরনের টালবাহানা করে নির্বাচন পিছানোর অজুহাত এই দেশের মানুষ মেনে নেবে না, উল্লেখ করে ব্যারিস্টার হেলাল বলেন, গণতান্ত্রিক সরকারই পরবর্তী সংস্কার সম্পাদন করবে। না করলে জনগণ বিচার করবে। বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক সরকারের উপরেই আস্থা রাখতে চায়, তিনি উল্লেখ করেন।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রবেশদ্বার কর্ণফুলী ক্রসিং চত্বরে নবঘোষিত দক্ষিণ জেলা বিএনপির কৃতজ্ঞতা ও স্বাগত মিছিল পূর্ব বিশাল সমাবেশে ব্যারিস্টার মীর হেলাল প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে ব্যারিস্টার হেলাল আরও বলেন, অতি দানবীয় ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-যুবক, কৃষক-শ্রমিক, সাধারণ মানুষ একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ ১৬ বছর লড়াই সংগ্রাম করেছে। হামলা-মামলা, ঘুম-খুন, নির্যাতন-নিপীড়ন, জেল-জুলুমসহ অত্যাচার-অনাচার মোকাবেলা করেছে। অকাতরে জীবন দিয়েছে। সাধারণ মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিপরীতে অবস্থান নিলে বাংলাদেশের জনগণ মেনে নেবে না, উল্লেখ করে মীর হেলাল বলেন, প্রয়োজনে আবারও আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। বিএনপিকে মাটি ও মানুষের সংগঠন বলে উল্লেখ করে মীর হেলাল বলেন, অতীতে বিএনপি অনেক পরীক্ষা দিয়েছে। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা পিছপা হবে না। তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জনগণের মনের ভাব বোঝার চেষ্টা করুন। দেশের সাধারণ জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায়।

ব্যারিস্টার মীর হেলাল দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, জাতির প্রয়োজনে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় সার্বিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি সাধারণ মানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য থেকে দল গঠন করতে হবে। ব্যারিস্টার মীর হেলাল চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণার মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন প্রাণ ফিরিয়ে আনার জন্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক এমপি গাজী শাহজাহান জুয়েল বলেন, বিএনপি বাংলাদেশ প্রতিটি ঘরে ঘরে রয়েছে। অতীতে বিএনপি ও শহীদ জিয়ার নাম নিশানা মুছে ফেলার জন্য ফ্যাসিস্ট সরকার অনেক অপচেষ্টা চালিয়েছিল। অথচ আজ বাংলাদেশের মানুষ তার পিতা ও তার দল আওয়ামী লীগের নাম নিশানা মুছে ফেলেছে। বিএনপির স্থান জনগণের অন্তরে। তাই বিএনপিকে জনগণ থেকে বিছিন্ন করা যাবে না।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেন, রাজনৈতিক সরকার ছাড়া একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করা যাবে না। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ছাড়া আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, মানুষের জান-মাল রক্ষা, টেকসই উন্নয়ন এমনকি স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাও কঠিন। তিনি অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচন ঘোষণার দাবী জানান।

মিছিলটি কর্ণফুলী থানাধীন ক্রসিং মোড় চত্বর থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে মইজ্জারটেক গিয়ে শেষ হয়। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য সৈয়দ সাদাত আহমেদ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস, যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ, মাহবুব রানা, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য এহসান এ খান, অ্যাড. এস এম ফোরকান, বদরুল খায়ের চৌধুরী, সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক জামাল হোসেন, কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এস এম মামুন মিয়া, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইসহাক চৌধুরী, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাস্টার লোকমান, চন্দনাইশ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আনোয়ার চৌধুরী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য আজিজুল হক চেয়ারম্যান, রেজাউল করিম নেছার চেয়ারম্যান, মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, আবদুল গাফফার চৌধুরী, আমিনুর রহমান চৌধুরী, হাজী আবুল কালাম আবু, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি সাইফুদ্দিন সালাম মিঠু, এস এম ছলিম উদ্দিন খোকন চৌধুরী, হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যান, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, সিরাজুল ইসলাম সওদাগর, জসিম উদ্দিন, হাজী রফিকুল আলম, নওয়াব মিয়া, ইব্রাহীম খলিল চেয়ারম্যান, আবদুল জলিল, আবদুল মোনাফ, জসিম মাস্টার, শওকত আলম, বিএনপির পৌরসভার আহ্বায়কবৃন্দ রাসেল ইকবাল মিয়া, শহীদুল্লাহ চৌধুরী, মাহমুদুর রহমান মাদু, বাবু খান, সরওয়ার হোসেন মাসুদ, বিভিন্ন উপজেলার সদস্য সচিববৃন্দ হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, সাজ্জাদুর রহমান, রেজাউল করিম চৌধুরী রেজা, হাজী ওসমান, গোলাম রসুল মোস্তাক, মোজাম্মেল হক, কামাল উদ্দিন, খোরশেদ আলম আইয়ুব, মো. ইউসুফ, আবদুর রহিম, অ্যাডভোকেট শওকত ওসমান, লায়ন নাছির উদ্দিন, হাজী আবদুর রাজ্জাক, ইন্জিনিয়ার হারুন উর রশিদ, মো. আলী মুন্সি, মো. ইসমাইল, নুরুল আবছার, জিএম জসিম উদ্দিন, মো. সোলাইমান, শাহাদাত হোসেন, এম মাঈনুদ্দীন চেয়ারম্যান, মেহেদী হাসান সুজন, ফজলুল কাদের, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, কৃষকদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রশিদ দৌলতী, মহসিন চৌধুরী রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মনজুর আলম তালুকদার, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর, নগর যুবদলের সহ-সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আকবর আলী খান, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জমির উদ্দিন মানিক, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি, নগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিন, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ডা. মহসিন খান তরুণ, কৃষক দলের সদস্য সচিব মীর জাকের আহমদ, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন রবি, সদস্য সচিব কামরুদ্দিন সবুজ, মহিলা দলের সভাপতি জান্নাতুন নাঈম রিকু, সাধারণ সম্পাদক সেলিনা আকতার, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন বাদশা, আনোয়ার হোসেন মিয়া, সালেহ্ জহুর, যুগ্ম সম্পাদক দিল মোহাম্মদ মনজু, সাইফুল ইসলাম খোকন, ফাতেমা আকতার মুন্নি, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান, গাজী মনির, গাজী ফেরকান, মো. ফারুক, বিএনপি নেতা মাস্টার মো. রফিক, জিল্লুর রহমান, অ্যাড. আবু তাহের, নাজিম উদ্দিন আহমদ, সালাউদ্দিন চৌধুরী সোহেল, মেহেদী হাসান সুজন, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কলিম উল্লাহ চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির, নাছির উদ্দিন, আবু জাফর চৌধুরী, সেলিম মাস্টার, আবু জাফর ফারুকী, অ্যাড. এরশাদুর রহমান রিটু, বেলাল উদ্দিন, ইফতেখার উদ্দিন ইফতু, ছলিম উল্লাহ চৌধুরী ডালিম, মো. ইসমাইল, মো. আবছার, মামুনুর রশিদ মামুন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস সবুর, মতিউর রহমান রাসেল, মো. ফারুক, বাঁশখালী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবু আহমদ, কর্ণফুলী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম মেম্বার, মিশকাত আহমদ, বাহাদুর খাদেমী, তরিকুল ইসলাম টুটুল, মো. দেলোয়ার হোসেন, মনোয়ার হোসেন, এস.এম. সুমন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ, সদস্য এস.এম. তৈয়ব, জেলা ছাত্রদল নেতা ইসমাইল বিন মনির, তারেক রহমান, শওকত হোসেন মিশু, আনিছুর রহমান আনাছ, মো. সিফাত, রাজীব হোসেন, সজীব, ফরহাদ হোসেন আসিফ প্রমুখ।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video