দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা এলাকার পদুয়া ইউনিয়নের পূর্ব-খুরুশিয়া কমলাছড়ি এলাকায় এক কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত কিশোরী মোহছেন আলীর কন্যা রিনা আকতার (১৪)। কমলাছড়ি, ছাতিবুড়ার পাহাড় এলাকায় নানী জরিনা বেগম (৬০)-এর সাথে বসবাস করত। শনিবার (৮ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে এ ঘটনার সূত্রপাত বলে পুলিশের ধারণা। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভিকটিমের মাতা রেহেনা আকতার পিতা মোহছেন আলীর সাথে ডিভোর্স হওয়ার পর থেকে সে কমলাছড়ি, ছাতিবুড়ার পাহাড় এলাকায় নানী জরিনা বেগমের সাথে বসবাস করত। কিন্তু কিছুদিন আগে তার মা রেহেনা আকতার তার দ্বিতীয় স্বামীর সংসারে কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানা এলাকায় নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু ভিকটিম তার নানীকে ছেড়ে মায়ের দ্বিতীয় সংসারে যেতে ইচ্ছুক ছিল না।
গত ১০ দিন পূর্বে মা রেহেনা আকতার রিনা আকতারকে নেওয়ার জন্য কিশোরগঞ্জ থেকে ঘটনাস্থলে আসেন। গত শুক্রবার, এসময় রিনা আক্তার রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী থানার বাঙ্গাল হালিয়া তার আত্নীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যায়। নানী জরিনা বেগম শনিবার সকাল ৯টায় রিনা আক্তারকে ঘরে রেখে স্থানীয় সুখবিলাস শারজাহ হাসপাতালে যান। ঘরে ফিরে দেখেন সকাল সাড়ে ১১টায় রিনা আকতার (১৪) বসত ঘরের বিমের সাথে ওড়না লাগিয়ে ঝুলে আছে।
তাৎক্ষণিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মায়ের দ্বিতীয় সংসার মানতে না পারার অভিমানে ওই কিশোরী গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম শিফাতুল মাজদার। তিনি বলেন, পদুয়া ইউনিয়নের পূর্ব-খুরুশিয়া কমলাছড়ি ছাতিবুড়ার পাহাড় এলাকা থেকে এই কিশোরীর ঝুলন্ত লাশের সংবাদ পাওয়া পর পুলিশ কিশোরীর লাশ উদ্ধার করে। লাশের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন