চট্টগ্রামের চন্দনাইশে রান্না ঘরের চুলার আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে ১১টি বসতঘর। রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে চারটার সময় উপজেলার কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডস্থ পশ্চিম এলাহাবাদ বাতুয়ার পাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- ওই এলাকার আমিন শরিফের ছেলে আব্দুর রহমান, লেদন আলী, মুন্সি মিয়া, জাকির হোসেন, হাবিবুর রহমানের ছেলে আব্দুল আজিজ, আনিছ, মৃত বাচা মিয়ার স্ত্রী হোসনে আরা, আনু মিয়ার ছেলে রুস্তম আলী, আব্দুর রহমানের ছেলে আমির হোসেন।
চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর কামরুল হাসান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এবং স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। অগ্নিকাণ্ডে ১১টি বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হবে।
ভুক্তভোগীরা জানান, আমরা ঘুমে ছিলাম। ফজরের আজানের পর কিছু বুঝে উঠার আগেই মুহূর্তেই আগুনে পুড়ে সব ছাই হয়ে যায়। কোনো কিছু ঘর থেকে বের করার সুযোগ হয়ে উঠেনি। ৯টি পরিবারের প্রায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তারা।
খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক মো. রাজিব হোসেন। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ আলমগীর জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাথমিকভাবে দশ কেজি করে চাল বিতরণের প্রক্রিয়া চলছে। পরবর্তীতে ঢেউটিন ও নগদ অর্থ প্রদান করা হবে।
এদিকে কাঞ্চনাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর মাঝে চাল, ডাল, পেঁয়াজ ও সয়াবিন তেল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য প্রদান করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আনিছুল ইসলাম, ইউপি সদস্য মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, আব্দুল হাকিম শামিম, মহিলা ইউপি সদস্য লাকী আক্তার প্রমূখ।
মন্তব্য করুন