নিজস্ব প্রতিবেদক | টুয়েন্টিফোর টিভি প্রকাশিত : শনিবার, ২০২০ আগস্ট ০১, ০৬:২৬ অপরাহ্ন
#
চট্টগ্রামে ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর চামড়া পানির দরে বিক্রি হচ্ছে। এলাকা ভেদে ৭০ হাজার থেকে লাখ টাকার ওপরে কেনা গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়। ৪০ হাজার থেকে ৬০ হাজার টাকার গরুর চামড়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩০০ টাকায়। পানির দামের চেয়েও কম দামে বিক্রি হচ্ছে ছাগলের চামড়া। ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকার ছাগলের চামড়া বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়।
নগরের বাদুরতলা এলাকার বাসিন্দা আনিসুর রহমান বলেন, এক লাখ টাকা দামের গরু কোরবানি দিয়ে তার চামড়া বিক্রি করেছি ৩০০ টাকায়। গত বছর ৯৫ হাজার টাকা দামের গরুর চামড়া বিক্রি করেছি ৫০০ টাকায়।
আগ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, গরুর দামের উপর নির্ভর করছে চামড়ার দাম। ১ লাখ টাকা দামের গরুর চামড়া ৩০০ টাকার বেশি দিচ্ছে না মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা। তিনি ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দামের গরুর চামড়া বিক্রি করেছি ৩২০ টাকায়।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, এবার সবচেয়ে কম দামে চামড়া কেনাবেচা হচ্ছে। ট্যানারি-মালিকদের নির্ধারণ করে দেওয়া দামও মিলছে না চামড়ার। কম দরে চামড়া বিক্রি হওয়ায় দরিদ্র প্রতিবেশী, এতিমখানা, মাদ্রাসা প্রাপ্য অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এত কম দর হওয়ার কারণ হিসেবে আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের দায়ী করছেন বিক্রেতারা। এদিকে কম দরে বেচাকেনা হওয়ায় চামড়া পাচারের আশঙ্কা করছেন অনেকেই।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার কোরবানির পশুর চামড়ার দাম ২০ থেকে ২৯ শতাংশ কমিয়ে ধরা হয়েছে। যেমন বলা হয়েছে, এবার ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়া কেনাবেচা করতে হবে প্রতি বর্গফুট ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে, যা গত বার ছিল প্রতি বর্গফুট ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। সে হিসেবে দাম কমানো হয়েছে ২৯ শতাংশ। আর ঢাকার বাইরে ধরা হয়েছে প্রতি বর্গফুট ২৮ থেকে ৩২ টাকা, যা গত বছর ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। এক্ষেত্রে গতবছরের চেয়ে দাম কমানো হয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ।
এ ছাড়া সারাদেশে খাসির চামড়া গত বছরের প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা থেকে ২৭ শতাংশ কমিয়ে ১৩ থেকে ১৫ টাকা করা হয়। আর বকরির চামড়া গত বছরের ১৩ থেকে ১৫ টাকা বর্গফুটের দর থেকে কমিয়ে এবার ১০ থেকে ১২ টাকা করা হয়েছে।
বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুল কাদের বলেন, সমিতির ১১২ জন সদস্য ছাড়াও আরও ১৫০ জন ব্যবসায়ী কোরবানির চামড়া কিনছেন। সরকারের নির্ধারণ করা দামেই এখন পর্যন্ত আমরা চামড়া কিনছি। তবে লবণ ছাড়া কাঁচা চামড়ার ক্ষেত্রে টাকা কম দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন