করোনাকালে বাচ্চুর ফ্রি সবজি বাজার, প্রশংসায় প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | টুয়েন্টিফোর টিভি প্রকাশিত : বুধবার, ২০২০ জুলাই ১৫, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন
#
করোনাকালে কর্মহীন হয়ে বেশ বিপাকে পড়েন নিম্ন আয়ের মানুষজন। অন্যদিকে উপযুক্ত দামে সবজি বিক্রি করতে না পেরে ক্ষতির মুখে পড়েন কৃষকরা। তাদের এই দুর্ভোগ কমাতে এপ্রিলের শুরুতেই ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ ‘ফ্রি সবজি বাজার’ নিয়ে হাজির হন চট্টগ্রামের সাবেক ছাত্রনেতা ও আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা উপ কমিটির সদস্য আরশেদুল আলম বাচ্চু। এতে কৃষকরা যেমন উপযুক্ত দাম পাচ্ছিলেন, তেমনি কিছুটা হলেও স্বস্তি আসে নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে।
এতে ‘ফ্রি সবজি বাজারের’ এই ধারণা দেশব্যাপী ছড়িয়ে যায়। একের পর এক বিভিন্ন স্থানে ফ্রি সবজি বিতরণের সংবাদ গণমাধ্যমে আসতে থাকে। বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হন আরশেদুল আলম বাচ্চু।
এবার সেই ফ্রি সবজি বাজারের প্রশংসা করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি সংসদে প্রধানমন্ত্রী তার নেতাকর্মীরা ফ্রি সবজি বাজারের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেন। এ জন্য দলের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদও জানান তিনি।
সংসদে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন বাজারে কৃষকরা সবজি বিক্রি করতে পারছিলনা, তখন সেই সবজি কিনে বিনা পয়সায় মানুষের মাঝে বিতরণ করেছে দলের নেতাকর্মীরা। এ ফ্রি সবজি বাজার থেকে দেশের ৬৫ হাজার মানুষ উপকৃত হয়েছেন।
ফ্রি সবজি বাজারের ধারণাটির বিষয়ে আরশেদুল আলম বাচ্চু বলেন, করোনায় লকডাউনের কারণে গ্রামে সাধারণ কৃষকরা নিজেদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েন৷ আবার শহরেরও অনেক দরিদ্র পরিবার কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করেন। ফ্রি সবজি বাজার চালুর কারণে কৃষক তার পণ্যের ন্যায্যমূল্য পেয়েছেন। আবার শহরের খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের ও কর্মহীন মানুষ ফ্রি সবজি পেয়ে উপকৃত হয়েছেন। এটিই ফ্রি সবজি বাজারের মুল উদ্দেশ্য। শুরুতে সবজি দেয়া হলেও পরবর্তীতে মানুষের পুষ্টির কথা বিবেচনায় ডিমও দেয়া হয় ফ্রি।
আরশেদুল আলম বাচ্চু বলেন, আওয়ামী লীগের একজন সামান্য কর্মী হিসেবে নিজের দায়বদ্ধতা থেকে যতটুকু পারছি সহযোগিতা করছি। দেশে করোনা সংক্রমণের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন নেতা-কর্মীদের মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দেন তখন থেকেই চেষ্টা করছি মানুষের পাশে থাকার। ফ্রি সবজি বাজার কার্যক্রম এখনও অব্যাহত রেখেছি।
করোনাকালে আরেকটি মানবিক উদ্যোগ নিয়েছেন বাচ্চু। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে চট্টগ্রামের রোগীরা যখন সেবা পাচ্ছিলেন না, তখন ৭ জুন থেকে তিনি শুরু করেন ‘ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সেবা’। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে চট্টগ্রাম নগরের একেক জায়গায় একেকদিন চিকিৎসকরা হাজির হচ্ছেন স্বাস্থ্যসেবা দিতে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা উপ কমিটির সদস্য আরশেদুল আলম বাচ্চু বলেন, হাসপাতালে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবা না দেওয়ার অভিযোগ থেকে ফ্রি চিকিৎসাসেবার ব্যবস্থা করেছি। ৭ জুন থেকে আমরা করোনা আক্রান্ত ও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসাসেবাসহ ওষুধ বিনামূল্যে দিচ্ছি। মূলত করোনা আক্রান্ত যেসব রোগীর মৃদু লক্ষণ আছে, তাদের এ সেবা দেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন