জয়পুরহাট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, পাঁচবিবির কীর্তিসন্তান, মেয়রপ্রার্থী ছাত্রদল নেতা শামীম হোসেনকে বিদেশি পিস্তল দিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
১৪ই এপ্রিল, সোমবার পহেলা বৈশাখে দিনব্যাপী বিভিন্ন জায়গায় বৈশাখী অনুষ্ঠান শেষে ছাত্রনেতা শামীম হোসেন মণ্ডল রাজনৈতিক সহকর্মীদের নিয়ে পৌর সুপার মার্কেটের গ্যারেজের সামনে বাইজিদের কাপড়ের দোকানের সামনে বসে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে ব্যবসায়িক আলোচনা করছিলেন।
এসময় দুটি মোটরসাইকেলে করে ৬ জন সন্ত্রাসী সেখানে এসে শামীম হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তবে কোন গুলি তার শরীরে লাগেনি বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী পাঁচবিবি পৌর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি হারুনুর রশিদ সজল। তিনি বলেন, “হঠাৎ করেই সন্ত্রাসীরা মোটরসাইকেলে এসে শামীমকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়—‘ওই যে শামীম’, এরপরই গুলি ছোঁড়ে। আল্লাহর রহমতে শামীম বেঁচে যান।”
ঘটনাস্থলে উপস্থিত সবার আত্মচিৎকারে সন্ত্রাসীরা পালানোর চেষ্টা করে। যুবদল নেতা হারুনুর রশিদ সজল তাদের ধাওয়া করলে একটি মোটরসাইকেল রাস্তায় পড়ে যায়। এতে পাঁচজন পালিয়ে গেলেও একজন পালাতে ব্যর্থ হন। জনসাধারণের সহায়তায় ওই সন্ত্রাসীকে বিদেশি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি ও মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়। পরে তাকে রাতেই পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে জয়পুরহাট জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল ওহাবের দিকনির্দেশনায় জয়পুরহাট ডিবির প্রধান ও পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ মইনুল হোসেন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আটকৃত সন্ত্রাসী ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের শাহাদত মোল্লার ছেলে রুবেল হোসেন (৩০)।
এ বিষয়ে পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ মইনুল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, “একজন আসামিকে বিদেশি পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি ও একটি মোটরসাইকেলসহ আটক করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেই এই হত্যাচেষ্টায় জড়িত থাকুক না কেন, তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।”
মন্তব্য করুন