৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী চট্টগ্রামের পটিয়া থানা পুলিশ গ্রেফতার বাণিজ্য করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছেন। থানার কিছু দালাল ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে পুলিশকে ব্যবহার করে নিরীহ লোকজনকে গ্রেফতার করে রাজনৈতিক মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে । এজাহারে নাম না থাকলেও আটকের টাকার বিনিময়ে ২-১ টা মামলা দিয়ে কোর্টে প্রেরণ করা হচ্ছে। টাকা না দিলে তাদের বিরুদ্ধে ৪-৫ টা করে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে আরো মামলা দেওয়াসহ বিভিন্ন হুমকি-ধমকি, ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। মামলার ভয়ে মুখ খুলছে না অনেকেই। পুলিশের এসব কর্মকাণ্ড ছাত্র-জনতার বিপ্লবকে সাধারণ জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে। অথচ ছাত্র জনতার উপর যারা হামলা করেছে তাদের কেউ ধরা পড়েনি। পুলিশ রাঘববোয়ালদের না ধরে চুনোপুঁটি নিয়ে ব্যস্ত। সম্প্রতি পটিয়ায় একাধিক গরু চুরি, ডাকাতি, খুনসহ নানা অপরাধের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি দেখা দিয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) পটিয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার নেতৃবৃন্দ।
এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক রিদুয়ান সিদ্দিক, আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাহাবুব উল্লাহ, পটিয়া পৌরসভা ছাত্রদল নেতা রেজাউল ইসলাম রাজু, আল জামিয়া আল ইসলামিয়ার শর্ট কোচের ছাত্র তানজিদ, পৌরসভা ছাত্রদল নোতা মারুফ আবদুল্লাহ, হাফেজ সাহেদ, তালহা রহমান, হাসান আল বান্না, আজিম মাহবুব, গাজী জোবায়ের, আবু সিদ্দিক বক্তব্য রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে ৭ দফা দাবি জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ৫ আগস্ট পরবর্তী যেসব মামলা হয়েছে সেসব মামলায় এজাহারভুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, উস্কানিদাতা, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, পটিয়া থানাকে দালালমুক্ত করা, চুরি,ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িতদের গ্রেফতার, কিশোর গ্যাং ও মাদক ব্যবসা বন্ধ, জনগণের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করাসহ ৭ দফা দাবি জানান। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। ভুক্তভোগী রবিউল ইসলাম জানান,সামাজিক মসজিদ কমিটি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে আমাদের প্রতিপক্ষ শোভনদন্ডী ইউনিয়নের ২-৩ জন বিএনপি নেতার মাধ্যমে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আমিসহ কয়েকজন নিরীহ লোককে আসামি করেছে। ৭-৮ জন লোক ছাড়া বাকী আসামিদের নাম পুলিশ ও বিএনপি নেতারা দিয়েছেন বলে বাদী মো. শাহজাহান আমাকে দু:খ প্রকাশ করে জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন