ঢাকা , সোমবার, ২০২৫ এপ্রিল ২১, ৮ বৈশাখ ১৪৩২
#

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শাহীন চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে লেলাংয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত : সোমবার, ২০২৫ জানুয়ারী ২০, ০৫:২২ অপরাহ্ন
#

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার লেলাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সরোয়ার উদ্দিন চৌধুরী শাহীনকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে লেলাং। এলাকাবাসীর অভিযোগ, চেয়ারম্যান শাহীনকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে এই মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত ৮ জানুয়ারি হাটহাজারী থানায় হেফাজত অধ্যুষিত একটি মাদ্রাসার ছাত্র হত্যা মামলায় শাহীনকে চট্টগ্রাম নগরী থেকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে। এর পর থেকেই তার মুক্তির দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ, মানববন্ধন এবং আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে, মামলার বাদী হেফাজতকর্মী মো. কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন আদালতে আপোষ দিয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান শাহীনের নাম মামলার এজাহার থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন করেছেন। হেফাজতের আমীর শাহ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী এ ঘটনাকে ইতিবাচক উল্লেখ করে বলেন, “চেয়ারম্যান একজন ভালো মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সংগঠন ও বিভিন্ন দ্বীনি প্রতিষ্ঠানে দান করে আসছেন। বাদীর আপোষের মাধ্যমে তার ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

মো. সরোয়ার উদ্দিন চৌধুরী শাহীনের আইনজীবী এ কে করিম জানান, গত ৯ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে চেয়ারম্যানের জামিন আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম সরওয়ার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান। পরবর্তী ধার্য ২২ জানুয়ারি আবার জামিনের আবেদন করা হবে। সেদিনও জামিন না হলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

ইউনিয়নের বাসিন্দারা বলছেন, এটি একটি বড় ষড়যন্ত্র। সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় জনদরদী শাহীন চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। স্থানীয় বাসিন্দা মো. জুনায়েত হোসেন শামীম বলেন, “শাহীন একজন মানবিক জনপ্রতিনিধি। তিনি দলমতের উর্ধ্বে উঠে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। দুর্যোগে এবং মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়িয়েছেন। তার এই গ্রেফতার আমাদের মর্মাহত করেছে।”

ইসলামিয়া বাজারের ব্যবসায়ী মো. মুনসুর বলেন, “চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে শাহীন এলাকায় উন্নয়নের মাইলফলক সৃষ্টি করেছেন। যা অতীতে কখনো হয়নি। তিনি কোনো অপরাধে জড়িত নন। একটি মহল ষড়যন্ত্র করে তাকে গ্রেফতার করিয়েছে। তাকে দ্রুত মুক্তি দিতে হবে, অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”

সংবাদকর্মী মোস্তফা কামরুল বলেন, “চেয়ারম্যান শাহীন পুরো ইউনিয়নকে উন্নয়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্তে পরিণত করেছেন। গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্য করেছেন। রাস্তাঘাট, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং সামাজিক উন্নয়নে তার অবদান অনস্বীকার্য।”

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু কাওসার মোহাম্মদ হোসেন জানান, “মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ার কারণেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কে অপরাধী আর কে নিরপরাধ, সেটি নির্ধারণ করার এখতিয়ার আদালতের।”

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video