ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২০২৫ সেপ্টেম্বর ১১, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২
#

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের একটি ক্লাস্টার ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

ভাসানচরে ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছে।


প্রকাশিত : রবিবার, ২০২৪ ফেব্রুয়ারী ২৫, ০৩:১১ অপরাহ্ন
#

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের একটি ক্লাস্টার ঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু হয়েছে

শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। তার নাম মো. রাসেল। শিশুটির বয়স তিন বছর।

ঘটনায় দ্বগ্ধ অপর ৪ শিশুসহ আরো ৮ জন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এরা হলেন আমেনা খাতুন (২৪), সফি আলম (১২), মো. রবিউল (৫), মো. সোহেল (৫), মোবাশ্বেরা (৩), বশির উল্লা (১৫), রশমিদা (৩) ও জোবায়দা (১১)।

চমেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, ভাসানচরে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ৯ জনের সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রাসেল নামে এক শিশুকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। বাকিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

ভাসানচরে জাতিসংঘ শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনারের (ইএনএইচসিআর) কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সকালে হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হয়।

খবর পেয়ে ভাসানচর থানার পুলিশের সহায়তায় দগ্ধ সবাইকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় ২০ শয্যার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুপুরে তাদের নোয়াখালী জেলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করে।

ভাসানচরের স্থানীয় সূত্র ও থানা-পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে ভাসানচরের ৮১ নম্বর ক্লাস্টারের আবদুর শুক্কুরের পরিবারের রান্না কাজে ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ হয়। একপর্যায়ে বিস্ফোরণ ঘটে। বাতাসের সঙ্গে চারদিকে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ঘরের বাসিন্দা ও আশপাশে থাকা নারীশিশুসহ আটজন দগ্ধ হয়। আর অপর এক শিশু ছুটোছুটি করার সময় দ্বগ্ধ হয়।

ভাসানচর থানার ওসি কাওসার আলম ভুইয়া বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় রোহিঙ্গারা আগুন নিভিয়ে ফেলেন। পরে পুলিশ গিয়ে দগ্ধ সবাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আগুনে ক্লাস্টার ঘরটির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। বাতাসের সঙ্গে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় আহত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।

 

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video