ঢাকা , রবিবার, ২০২৫ আগস্ট ০৩, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২
#

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বদলির এক বছর পরেও সীতাকুণ্ড ছাড়েননি শাহ আলম

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম।
প্রকাশিত : শনিবার, ২০২৫ আগস্ট ০২, ০৪:০০ অপরাহ্ন
#

সীতাকুণ্ড উপজেলার সরকারি একাডেমি ভবন বাসা অবৈধ দখল করে বসে আছে মিরসরাই উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহ আলম। সাবেক সীতাকুণ্ড উপজেলার বর্তমান মিরসরাই উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহ আলম দীর্ঘ ২৭ বছরের কুকৃতকর্ম উন্মোচন। সীতাকুণ্ড উপজেলায় যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করে এসেছি। ২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট এর পর সীতাকুণ্ড উপজেলা থেকে মিরসরাই উপজেলায় আমাকে বদলি করা হয়েছে। সীতাকুণ্ড উপজেলার একাডেমি ভবনের বাসায় আছি। সাবেক সীতাকুণ্ড উপজেলার যুব কর্মকর্তা, বর্তমান মিরসরাই উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহ আলম। শাহ আলম সীতাকুণ্ড উপজেলা থেকে মিরসরাই ট্রান্সফার হয়েছে এক বছর। ট্রান্সফারের এক বছর হয়ে যাবার পরেও তিনি এখনো সীতাকুণ্ড উপজেলার একাডেমি ভবন ছাড়তে পারেননি। বাসাটি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক হোসেন, বাসা সুপারভাইজার নামে হলেও দখলে রয়েছে যুব কর্মকর্তা শাহ আলমের। অজ্ঞাত কারণে রহস্য গোপন রয়েছে ২৭ বছরের কৃতকর্ম। ২৭ বছর সীতাকুণ্ড উপজেলা থেকে বদলি করতে পারেনি যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহ আলমকে। বদলি হলেও বদলি বাতিল করাইতো সে। আজও তার গোপন রহস্য উন্মোচন করতে পারেনি কেউ। সে আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় লেখালেখি করে কোন ফলাফল আসবে না। আমি সীতাকুণ্ড উপজেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মিলেমিশে ২৭ বছর পার করেছি। যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহ আলমের সীতাকুণ্ড উপজেলায় অজানা অনেক গোপন রহস্য লুকিয়ে রয়েছে যার ফলে তিনি সীতাকুণ্ড বাসা ছাড়তে রাজি নন। গত কয়েক বৃহস্পতিবার তার সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন, আমি মিরসরাই চাকরি করি, সীতাকুণ্ড আমার বাসা, এখান থেকে যাতায়াত করি, বাসায় থাকি। পরিবর্তন করে লাভ কী? বাসাটি ফারুক হোসেন নামে। বাসাটি সরকারি ভাড়া ৪৫০০ টাকা, সে অন্যের কাছ থেকে ভাড়া নেন ২৫০০০ টাকা। শাহ আলম প্রকল্প কর্মকর্তার বাসাটিও ব্যবহার করতেন। বর্তমানে যেখানে বসবাস করছি সেখানে ভালো আছি। সরকারি বাসা পরিবর্তন ও ভাড়া নিয়ে রয়েছে গোপন রহস্য। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ফারুক হোসেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার। মাধ্যমিক অফিসে রয়েছে অজানা অনেক গোপন তথ্যের ভাণ্ডার। যুব উন্নয়ন সত্বর যুব কর্মকর্তা মেয়ে সারা নামে রয়েছে দোকান বরাদ্দ, এমপি মামুনের পিএস মারুফ আত্মীয় নামে দোকান বরাদ্দ, উপজেলা পরিষদের পিয়ন সুমনের স্ত্রী নামে দোকান বরাদ্দ, আবুল খায়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল সচিবের নামে দোকান বরাদ্দ, শহীদ ইসলাম পাপ্পু নামে যুব উন্নয়ন সত্বর রয়েছে দোকান বরাদ্দ। এই সব অপকর্ম হচ্ছিল যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহ আলম। তার বিরুদ্ধে রয়েছে আরো অনেক গোপন রহস্য।
যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, দীর্ঘ ২৭ বছর সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছি। আমার কোন দুর্নাম নেই। আমার মেয়ের নামে সীতাকুণ্ড যুব সত্বর থেকে একটা দোকান বরাদ্দ নিয়েছি।
মিরসরাই উপজেলার যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা অবৈধ বাসা দখলদার শাহ আলমের বিষয়ে সীতাকুণ্ড উপজেলার একাডেমি বাসার পরিবর্তনের বিষয়টি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

আরও খবর

Video