বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন বলেন, এদেশে আমরা ধর্মীয় দিক থেকে সামঞ্জস্যপূর্ণ মন-মানসিকতায় বিশ্বাসী। এটাই শক্তি আর এই শক্তিকে ইসলামের শত্রুরা ভয়ংকরভাবে দেখে। এটিকে তারা নস্যাৎ করতে সবসময় চেষ্টা করে চলছে। এ জন্য আমাদের মাঝে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করতে উঠে পড়ে লেগেছে। তারা আমাদের ছোটখাটো ভুলভ্রান্তি নিয়ে আমাদের মাঝে বিভাজন করার চেষ্টা করছে। দেশের বিরুদ্ধে এখনো দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্র অব্যাহত আছে। তাই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সকলকে সতর্ক ও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে ফটিকছড়ি উপজেলার সুন্দরপুরের হরিনাদিঘী মাদ্রাসার বার্ষিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যক্ষ নুরুল আমিন বলেন, জালিমরা সাইদীর মতো মুফাচ্ছিরকে মেরে ফেলেছে। কিন্তু আল্লাহ তাঁর মতো হাজার হাজার সাইদী তৈরি করে দিয়েছেন। আল্লাহ তাঁদেরকে আরও সাবলীলভাবে যেন দ্বীনের কথা মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে। এদেশকে স্বাধীন দেশ রাখেনি, প্রবেদশ বানিয়ে ফেলেছিল। ব্রিটিশরা আলেমদের দ্বীপপুঞ্জে নির্বাসন করত। আর আমাদের দেশের আলেম-ওলামাদেরকে জেলখানায় ও আয়না ঘরে নিয়ে বন্দী করছে। আয়না ঘর শুধু প্রশাসন ও গোয়েন্দা বাহিনী করছে তা নয়, এখন আয়না ঘর আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘরেও পাওয়া যাচ্ছে। কী নির্যাতন তা না করছে দেশে। এরকম জালিম ও জুলুমবাজ সম্প্রদায় কীভাবে আল্লাহ এদেশে দান করেছেন? নিশ্চয় আমাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য এটি দিয়েছেন আল্লাহ।
তিনি বলেন, এখন আবার (আওয়ামী লীগের) তাদের ভাষায় কেউ কেউ কথা বলার চেষ্টা করছে। কথার পাশে আওয়ামী লীগের নাম তুলে দিয়ে আরেকটা দলের নাম তুলে দিলে হয়ে যাবে। শুধু দল পরিবর্তন হয়েছে। একটা জালেমের পরিবর্তে আরেকটা জালেম এদেশের জনগণ চাইবে না। আমরা চাইব দেশে ইসফা প্রতিষ্ঠা হোক।
তিনি আরও বলেন, দ্বীনি শিক্ষার ভিত্তিকে মজবুত করতে হবে। কোরআন ও হাদীসের আলোকে নিজেদের জীবনকে গড়ার চেষ্টা করতে হবে। আলেম-ওলামাদের সাথে সম্পর্ক বাড়াতে হবে। নিজের পরিবারে কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সাবে উপসচিব গোলাম হোসেন সভাপতিত্ব করেন মাহফিলে। প্রধান আলোচক ছিলেন শায়েখ মোশাররফ হোসাইন জাইদী, বিশেষ বক্তা ছিলেন আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা মোহাম্মদ আলী।
শিক্ষক আলী মর্তুজার সঞ্চালনায় উদ্বোধনী বক্তব্য দেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শওকত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যক্ষ সেলিম জাহাঙ্গীর, মো. সিরাজুল হক, মোহাম্মদ হাশেম, পার্কভিউ হাসপাতালে পরিচালক ডা. আহমদ রহিম, জামায়াত নেতা নাজিম উদ্দিন সিকদার, ইউসুফ বিন সিরাজ, অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন পাঠান, প্রফেসর জামাল উদ্দিন, প্রফেসর এন. এম রহমত উল্লাহ, আব্দুর নইম ও মাস্টার জমির উদ্দিন প্রমুখ।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার সুপার মাওলানা শামসুদ্দীন, আমেরিকান প্রবাসী শাহদাত হোসেন এবং সমাজ কল্যাণ পরিষদের আরুয়ারুল আজিম নয়ন, ডা. রাসেদুল করিম, মোরশেদ সওদাগর, নাছির উদ্দিন।
মন্তব্য করুন