চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বিখ্যাত ভান্ডারী মুলা আকারে বিশাল এবং স্বাদে অসাধারণ। এই মুলার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। স্থানীয়ভাবে এটি ভান্ডারী মুলা নামে পরিচিত হলেও এর জাত আসলে জাপানের।
বিশেষ করে, হযরত আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এর ওরশ উপলক্ষে আগত দর্শনার্থীদের কাছে এই মুলার চাহিদা অত্যন্ত বেশি। সেই সময় স্থানীয় কৃষকরাও মুলা বিক্রির জন্য অপেক্ষা করেন।
এবার ভান্ডারী মুলার ক্ষেত ঘুরে দেখা গেছে বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিটি মুলার ওজন ২ কেজি থেকে ১২ কেজি পর্যন্ত। নাজিরহাট পৌরসভা, সুন্দরপুর, সুয়াবিল ইউনিয়নসহ হালদা নদীর অববাহিকায় চাষিরা এই মুলা উৎপাদন করেছেন। তাদের ক্ষেতগুলো দেখে মুগ্ধতা জাগে।
তবে চাষিরা জানান, উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির কারণে মুনাফা আগের মতো হচ্ছে না। অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন। তবে মুলার আকার ও চাহিদার কারণে কৃষকরা আশাবাদী, সামনের ওরশে ভালো দাম পাবেন।
ফলন ভালো হলেও বাজারদরের তুলনায় লাভ কম হচ্ছে বলে চাষিদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিন্তু দামের বিষয়টি সত্ত্বেও ভান্ডারী মুলার চাহিদা এখনো অপরিবর্তিত। এটি ফটিকছড়ির কৃষকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল হয়ে উঠেছে।
মন্তব্য করুন