টুইটার কেনার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত কম নাটকীয়তার জন্ম দেননি ইলন মাস্ক। এবার বরখাস্ত করলেন টুইটারের পুরো পরিচালনা পর্ষদকে, হলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)।
ইলন মাস্কের ভাবসাব দেখে মনে হচ্ছে টুইটার নিয়ে তার ওপর কেউ কথা বলুক–এটা কোনোভাবেই প্রশ্রয় দিতে নারাজ তিনি। তাইতো নিজেকেই সর্বেসর্বা রাখতে ছাঁটাই করেছেন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের এবং বিলুপ্ত ঘোষণা করেছেন পরিচালনা পর্ষদ।
টুইটার কেনার পরপরই নিজের বায়োতে মাস্ক লিখেছেন 'টুইটার প্রধান'। মাস্কের এ আচরণ থেকে সহজেই বোঝা যাচ্ছে, প্রতিষ্ঠানটিতে একাধিপত্য চালাতে যাচ্ছেন ইলন মাস্ক।
টুইটার কিনে নেয়ার পরপরই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগরওয়ালকে ছাঁটাই করেন মাস্ক। পরাগের সঙ্গে চাকরি যায় প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা নেড সেগাল ও অপর শীর্ষ কর্মকর্তা টুইটারের আইন ও নীতিবিষয়ক প্রধান ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিজয়া গাড্ডের।
এর পরপরই ছাঁটাই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে টুইটারের সাড়ে সাত হাজার কর্মীর মধ্যে। তাদের আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে তোলে নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন। এতে বলা হয়, ‘টুইটারের পরিচালন ব্যয় কমাতে আগামী মাসের শুরুতেই ব্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাই করতে যাচ্ছেন মাস্ক। পহেলা নভেম্বরের আগেই এসব ছাঁটাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।’ বিশ্বের গণমাধ্যমগুলোতে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় নতুন ঝড়।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, টুইটারের শীর্ষ নির্বাহীদের বোনাস না দেয়ার জন্যই মূলত মাস্ক তাদের ছাঁটাই করেছেন।
কিছুদিন আগে ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনেও বলা হয়, ইলন মাস্ক টুইটারের ৭৫ শতাংশ কর্মী দুই হাজারে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা করছেন।
অবশ্য শুধু টুইটারই নয়, বিশ্বের শীর্ষ তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর বেশির ভাগই অর্থনৈতিক সংকটে আক্রান্ত। মুনাফা কমে যাওয়ায় ফেসবুক, মাইক্রোসফট ও ইনটেল থেকে শুরু করে অনেক বিগটেক প্রতিষ্ঠানই কর্মী ছাঁটাই এবং নতুন নিয়োগ বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। একই পরিস্থিতির শিকার টুইটারও। এমনকি ইলন মাস্ক টুইটার অধিগ্রহণ না করলেও মুনাফা কমে আসায় টুইটার কর্তৃপক্ষকে খরচ বাঁচাতে কর্মী ছাঁটাইয়ে যেতে হতো।
মন্তব্য করুন