ওজন কমাতে চাইলে দৈনিক প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
চর্বিহীন পেশি গঠন, ব্যায়ামের পরে দেহ গঠনসহ নানান রকম উপকারিতা পেতে প্রোটিন ভূমিকা রাখে।
প্রোটিনের নানান উৎস থাকলেও অনিরামিষভোজিদের জন্য সেরা পছন্দ মুরগি ও ডিম।
প্রোটিন কী?
“পলিপেপ্টাইডস হিসেবে পরিচিত প্রোটিন। যা দেহে পুষ্টির চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি দাঁত ও হাড় গঠনেও ভূমিকা রাখে প্রোটিন” হেল্থশটস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলেন ভারতীয় পুষ্টিবিদ শ্রুতি কেলুস্কার।
‘ফুড অ্যান্ড ফাংশন’ জার্নালে ২০১৬ সালে প্রকাশিত ‘ডায়েটারি প্রোটিন ইন্ট্যাক্ট অ্যান্ড হিউম্যান হেল্থ’ নামক গবেষণা পত্রে জানানো হয়, কর্মক্ষম সুস্থ প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা প্রতি কেজি ওজনের জন্য ০.৮ গ্রাম।
চর্বিহীন প্রোটিনের উৎস
চর্বিহীন প্রোটিন সবসমই ভালো। উৎস হিসেবে আছে- মুরগি, সাদা মাছ, ডিম, সাদা টক দই, বাদাম, বীজ ইত্যাদি।
চর্বিসহ প্রোটিনে উৎস
যা সাধারণত উচ্চ চর্বি সমৃদ্ধ হয়। যেমন- প্রক্রিয়াজাত মাংস, লাল মাংস ও উচ্চ চর্বির দুধের তৈরি খাবার।
তাহলে মুরগি না-কি ডিমের প্রোটিন?
‘ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)’য়ের তথ্যানুসারে, ১০০ গ্রাম সাদা ডিমে থাকে ১০.৯ গ্রাম প্রোটিন। আর ১০০ গ্রাম বাদামি ডিমে ১২ গ্রাম প্রোটিন থাকে।
মুরগির বুকের মাংসে এর মাত্রা বেশি। ইউএসডিএ অনুযায়ী, ১০০ গ্রাম মুরগির বুকের মাংস থেকে মিলবে ২৩.২০ গ্রাম প্রোটিন।
তাই বলা যায় প্রোটিনের ক্ষেত্রে ডিম আগে না মুরগি আগে- এই বিতর্কে দ্বিধাহীনভাবে জয়ী হচ্ছে মুরগির মাংস।
“মুরগির মাংস ও ডিম- দুটোই প্রোটিনের ভালো উৎস। আর গ্রহণ করার ক্ষেত্রে বিবেচনায় আসবে ব্যক্তির পছন্দ, পুষ্টির পরিমাণ ও স্বাস্থ্য”- মন্তব্য করেন কেলুস্কার।
যেমন- ওজন কমাতে ও উচ্চ প্রোটিন গ্রহণ করতে চাইলে মুরগির বুকের মাংস বাছাই করা কার্যকর।
মুরগির বুকের মাংস
মুরগির মাংস চর্বিহীন আর উন্নত প্রোটিন সমৃদ্ধ। এতে আছে সব ধরনের অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড যা দেহের পেশি গঠন, ক্ষয় পূরণ ও সার্বিক সুস্থতা রক্ষায় ভূমিকা রাখে।
অন্যদিকে, ডিম সম্পূর্ণ প্রোটিন। এতে আছে সঠিক পরিমাণে সব ধরনের অত্যাবশ্যকীয় অ্যামিনো অ্যাসিড। এটা ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ভালো উৎস।
আর প্রোটিনের উৎস হিসেবে ডিম না মুরগি বাছাই করা হবে, সেটা নির্ভর করবে ব্যক্তির পছন্দ ও চাহিদার ওপর।