ছেলেরা একটু বেশি বয়সেই বিয়ে করে। কারণ আমরা মনে করি, ছেলেদের একটু দেরিতেই বিয়ে করা ভালো। আসলে ছেলেরা নিজেরাই দেরিতে বিয়ে করতে চায়। কারণ বিয়ে শুধু জমজমাট কোনো অনুষ্ঠান নয়, এটি একটি দায়িত্ব। সঙ্গীর প্রতি দায়িত্ব, সম্পর্কের প্রতি দায়িত্ব, পরিবারের প্রতি দায়িত্ব। শুধু দায়িত্বই নয়, অন্যান্য অনেক বিষয়ই এর সঙ্গে জড়িত। কী কী কারণে ছেলেরা দেরিতে বিয়ে করতে চায় তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটে।
চলুন, একনজরে জেনে নিই ছেলেদের দেরিতে বিয়ে করার পেছনে কারণ কী।
এটা সত্যি যে, বিয়ের জন্য নির্দিষ্ট একটা বয়স আছে। কিন্তু ক্যারিয়ারের জন্য কোনো নির্দিষ্ট বয়সসীমা নেই। তাই অনেক পুরুষ আছে যারা সবকিছু পেছনে ফেলে ক্যারিয়ারের পেছনে ছুটে বেড়ায়। এদের জন্য বিয়েটা সব সময়ই দ্বিতীয় স্থানে থাকে। তারা চিন্তা করে ক্যারিয়ারটা একটু গুছিয়ে নিই, তারপর বিয়ে করব। এ কারণেই তারা দেরিতে বিয়ে করতে চায়।
ছেলেরা স্বাধীনতা পছন্দ করে। তারা মনে করে, বিয়ে করলে তাদের স্বাধীনতা নষ্ট হবে। তারা তাদের মনমতো কিছু করতে পারবে না। এ কারণেই ছেলেরা মনে করে বিয়ে যত দেরিতে করা যায়, ততই ভালো।
ছোট বোনের বিয়ে, ছোট ভাইয়ের পড়াশোনা, বাবা-মায়ের দায়িত্ব সব বড় ছেলের ওপর। সে তো চাইলেই আর বিয়ে করতে পারে না। তাই সে নিজের চিন্তা না করে পরিবারের জন্য দেরিতে বিয়ে করতে চায়।
অনেক ছেলের আয়-উপার্জন কম থাকে। তাই তারা বিয়ে করতে ভয় পায়। বিয়ের কারণে খরচ অনেক বেড়ে যায়। তাই তারা যতদিন না আয় বাড়ে, ততদিন বিয়ে করতে চায় না।
বিয়ে মানেই কমিটমেন্ট। অনেক ছেলেই দ্রুত এই কমিটমেন্টে জড়াতে চায় না। তারা তাদের সঠিক জীবনসঙ্গীর জন্য অপেক্ষা করে। যতক্ষণ না কাউকে বিয়ে করার মত মনে হয় ততক্ষণ তারা বিয়ে করতে চায় না।
বিয়ে মানেই দায়িত্ব। অনেকে মনে করে বিয়ে করলেই স্ত্রীর দায়িত্ব ঘাড়ে চেপে বসবে। তারা এই বাড়তি ঝামেলা নিতে চায় না। এ কারণে বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে তারা বিয়ে পেছাতে চায়।
অনেক ছেলে ছোটবেলা থেকে পরিবারে বাবা-মায়ের বা আত্মীয়স্বজনের বিবাহিত জীবনে নানা সমস্যা দেখে বড় হয়। এ কারণে তারা বিয়েকে ভয় পায়। সে মনে করে, তার জীবনেও এমনটা হবে। তাই হাজারটা অজুহাত দিয়ে সে বিয়ে থেকে দূরে থাকতে চায়।