জামায়াতের টাকা আসে কোথা থেকে, জানা গেল


প্রকাশিত : শনিবার, ২০২১ অক্টোবর ০২, ১১:২৯ পূর্বাহ্ন

লন্ডন প্রবাসী ৭০০ থেকে ৮০০ নেতাকর্মী নিয়মিত টাকা পাঠান জামায়াতে ইসলামীর ফান্ডে।

টাকা আসে বিভিন্ন এনজিওর নামেও। ২০১৩ সালে হেফাজতের নাশকতায় এবং ২০১৪ সালে বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনে অর্থের মূল জোগানদাতা ছিল জামায়াত। সম্প্রতি জামায়াতের নয় নেতাকর্মীর রিমান্ড শেষে এসব তথ্য জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা।
 
গত ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। জোটের অন্যতম মিত্র ছিল জামায়াতে ইসলামী। পরবর্তীতে বিএনপি চারদলীয় জোট সম্প্রসারণ করে ২০ দলীয় জোট গড়ে। সেখানেও আছে জামায়াত।

২২ বছর জোটবদ্ধ থাকার পর যুদ্ধাপরাধের দায়ে নিবন্ধন হারানো দলটির এখন দৈন্যদশা। সম্প্রতি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় সংগঠনটির সেক্রেটারি জেনারেলসহ নয় নেতাকর্মীকে। পুলিশের দাবি তারা সেখানে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনায় গোপন বৈঠকে বসেছিলেন।
 
দুদফা রিমান্ড শেষে জামায়াতে ইসলামীর অর্থের উৎস সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার দাবি গোয়েন্দাদের। ২০০১ থেকে ২০০৫ অর্থাৎ জোট সরকারের আমলে লন্ডনে পাঠানো হয়েছিল জামায়াতে ইসলামীর হাজারেরও বেশি কর্মী। তাদের মধ্যে ৭০০ থেকে ৮০০ জন নিয়মিত টাকা পাঠান দলের ফান্ডে। এনজিওর নামেও আসে টাকা। গোয়েন্দারা বলছেন, বিভিন্ন সময়ে জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনে অর্থের জোগানদাতা ছিল দলটি।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, জামায়াতের ফান্ডের কোনো অভাব নেই। তাদের ফান্ড আসে বিদেশ থেকে,  ২০০১ থেকে ২০০৫ অর্থাৎ জোট সরকারের আমলে লন্ডনে পাঠানো হয়েছিল জামায়াতে ইসলামির হাজারেরও বেশি কর্মী। তারা সেখানে কাজ (চাকরি) করে একটি ফান্ড পাঠায়। তারপর তারা বিভিন্ন এনজিওর নাম করে তাদের অনেক ফান্ড আসে। বিএনপির যে আন্দোলন হয় সেখানে তাদের সঙ্গে ধ্বংসাত্মক কাজে জামায়াতের লোকজন জড়তি থাকে।
 
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, বিদেশ থেকে আসা অর্থ কোন কোন কাজে ব্যবহৃত হয়, তা খতিয়ে দেখছেন তারা।
 
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কেএম হাফিজ আক্তার বলেন, বিদেশ থেকে দেশে আসে প্রতি মাসে টাকা। সেই টাকা যদি নাশকতার কাজে ব্যবহার হয় সেই বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে।  
 
নিবন্ধন বাতিল হওয়া দলটি জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে তাদের মতাদর্শে বিশ্বাসী অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে কিংবা অন্য কোনো উপায়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের অপেক্ষায় আছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক : মো: শামসুল কবির শাহীন
ব্যবস্থাপনা পরিচালক: মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির
নির্বাহী সম্পাদক:এম.এ কাইয়ুম

■ অফিস  :
প্রধান কার্যালয় : ২৪, গার্ডেন ভিউ, বায়েজিদ-ফৌজদারহাট লুফ রোড (লিংক রোড), ৬নং ব্রীজ, বায়েজিদ, চট্টগ্রাম।
সম্পাদকীয় কার্যালয় : এম.এম টাওয়ার (৮ম তলা, লিফট-৭), সানমারের উত্তর পাশে, জিইসি মোড়, চট্টগ্রাম

মোবাইল : +880 1844 29 28 58
ই-মেইল : newsoffice.24tv@gmail.com

কপিরাইট © 2018-2023 24tv.com.bd । একটি টুয়েন্টিফোর ফ্যামেলির প্রতিষ্ঠান
Design & Developed by Smart Framework