তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘দেশ এখন একটা প্রতিকূল পরিবেশে সাঁতার কাটছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রতিকূলতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে কাজ শুরু করতে হবে। এখানে আমাকে কঠিন দায়িত্ব পালন করতে হবে। সেগুলো মোকাবিলা করাই আমার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হবে। সামনে নির্বাচন, সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করাও কঠিন দায়িত্ব আমার উপর।‘
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ সোমবার আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। এসময় দলীয় কিছু নেতাদেরও সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘দলে পদ পাওয়ার জন্য অনেকে আমার কাছে এমনভাবে কান্নাকাটি করছে, মনে হচ্ছে পদ পাওয়াই তাদের জন্য সবকিছু। সেজন্য আজকের দিনটা আমার জন্য খুব চাপের মধ্যে।’
আগামী বছর এমআরটি লাইনের কাজ পুরোপুরি শেষ হবে জানিয়ে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এরপর কমলাপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২১ কিমি পাতাল রেলের কাজ শুরু হবে। বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ শেষ পর্যায়ে। বিশ্বে আজ যুদ্ধ-নিষেধাজ্ঞা পরিস্থিতির মধ্যে আমাদেরও কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে চলতে হচ্ছে।’
বিভিন্ন দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এই প্রসঙ্গে টেনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ভারতে যেহেতু সংক্রমণ শুরু হয়েছে, আমরাও প্রস্তুত হচ্ছি। সব মিলিয়ে কঠিন পরিস্থিতি এখন।’
বিরোদী দলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন মোকাবিলা করার সক্ষমতা আওয়ামী লীগের আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জঙ্গিবাদী শক্তি, সাম্প্রদায়িক শক্তি যাদের দোসর; তারা এখন ষড়যন্ত্র করছে। এটাকে মোকাবিলা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘গঠনমূলক সমালোচনা করতেই পারে বিরোধী দল। কিন্তু সরকারের এত অর্জনে ঈর্ষান্বিত হয়ে যারা সমালোচনা করছেন, তারা দেশের ভালো চান না। এই কয়বছরে সরকারের অনেক অর্জন হয়েছে। এটা নিতে পারে না অনেকে।’
স্বাধীনতার পর টানা প্রথম ব্যক্তি হিসেবে টানা তৃতীয় বার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মন্ত্রী হিসেবে আমি কোনও দুই নম্বর কাজ করি না, আমি কোনও পার্সেন্টেজ খাই না। তাই মন্ত্রণালয়ে কাজ না করলে কেউ আমার কাছে প্রশ্রয় পায় না।‘